রাজ্যে সপ্তম দফার নির্বাচন শুরু হতে চলেছে সোমবার। তার ঠিক আগেই রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের(jyotipriyo Mullick) বিরুদ্ধে ৫ বছরে ৫ হাজার কোটি টাকা রেশন দুর্নীতির(ration corruption) অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়(Kailash Vijayvargiya)। যদিও নির্বাচনের ঠিক আগে বিজেপির এহেন ভোটকুশলী ষড়যন্ত্রকে ফুৎকারে উড়িয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়ে দিলেন, উত্তর ২৪ পরগনার ২৯ টি আসনেই হারাবো বিজেপিকে। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করারও হুঁশিয়ারি দেন জ্যোতিপ্রিয়।

রবিবার বাইপাসের ধারে একটি পাঁচতারা হোটেলের সাংবাদিক বৈঠক করে কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘কৃষকরা ধানের উৎপাদনমূল্য পাননি। গরিবরা চাল পাননি। এই দুর্নীতিতে জড়িত মমতার ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী।’ এরপর সরাসরি খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানান, ‘ত্রিপলের পয়সা এলেও গরিবদের কাছে পৌঁছয়নি। মোদীজি চাল পাঠালেও আসেনি। প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে প্রতিবছর। ৫ বছরে দুর্নীতির সংখ্যাটা ৫ হাজার কোটি।’ পাশাপাশি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কতজন কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা হয়েছে সে তথ্য সরকার দেয়নি বলে অভিযোগ তোলেন কৈলাস। এছাড়াও গত কয়েক বছরে নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সম্পত্তি বৃদ্ধির হিসেবে তুলে ধরা হয় বিজেপি তরফে। বলা হয়, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় বাংলাদেশে সম্পত্তি রয়েছে ওনার।
আরও পড়ুন:রাত পোহালেই রাজ্যে ভোট সপ্তমী, ভবানীপুর-সহ একাধিক নজরকাড়া কেন্দ্র

এরপর নির্বাচনের ঠিক আগে বিজেপি তোলা এহেন অভিযোগের পাল্টা দিয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “রাজ্যে বিজেপি গোহারা হারতে চলেছে। উত্তর ২৪ পরগনার ২৯ টি আসনের সবকটি আসন তৃণমূল পাবে। এটা বুঝতে পেরেই ওদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে।” পাশাপাশি কটাক্ষ করে তিনি আরো বলেন, “৫০০০ কোটি কেন ১০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি আছে আমার। শুধু বাংলাদেশ কেন উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এমনকি ওর ছেলের কাছেও ১০ হাজার কোটি টাকা রাখা আছে। উনি জানেন না?” তিনি আরো বলেন, “বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা আগে খোঁজ নিক বাংলায় বিজেপির প্রার্থীদের কাছ থেকে কত কোটি টাকা করে তুলেছে কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে তার হিসেব নেবো আমি। মানহানির মামলা করব। ওদের সঙ্গে আমার কোর্টে দেখা হবে।” পাশাপাশি সপ্তম দফা নির্বাচনের আগে এই ধরনের অভিযোগ সম্পর্কে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, “হার নিশ্চিত বুঝে ওদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। তাই শেষ বেলায় মিথ্যাচারকে হাতিয়ার করে এগোনোর চেষ্টা করছে। যদিও তাতে লাভ কিছু হবে না।”
