দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে করোনা পরিস্থিতি(corona situation)। বাংলার অবস্থাও ভালো নয়। নেই পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন ও টিকা। প্রথম দফায় যারা টিকা নিয়েছেন তাদের মধ্যে এখনো অনেকের ভাগ্যে জোটেনি দ্বিতীয় দফার টিকা। যদিও নির্বাচন মুখর বাংলায় ভোট প্রচারে কোন খামতি নেই। রবিবার সশরীরে উপস্থিত না হলেও ভার্চুয়ালি বাংলায় ভোটের প্রচারে এসে টিকা নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ তুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা(JP Nadda)। যদিও পাল্টা আক্রমণে নাড্ডাকে তুলোধনা করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)।

রবিবার রাজ্যে একাধিক জায়গায় ভোট প্রচার করেন জেপি নাড্ডা। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ শানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরুদ্ধে টিকা নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ তোলেন তিনি। বলেন, বাংলায় ভ্যাকসিনের কোনও অভাব নেই। যুক্তি হিসেবে তিনি জানান, যদি তা থাকতো তবে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর ভ্যাকসিন প্রয়োগের রিপোর্ট পেশ করত না। এরপরই ভ্যাকসিন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতি করছেন বলে অভিযোগ তোলেন নাড্ডা। যদিও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভ্যাক্সিনেশন হলেও তা অত্যন্ত অল্প সংখ্যায় হচ্ছে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের অভাবে।
আরও পড়ুন:ভোটের আগেই খোদ কলকাতার বুকে রাজনৈতিক সংঘর্ষ, আহত ১৪

এদিকে ভ্যাকসিন নিয়ে বঙ্গে ভোট প্রচারে এসে নাড্ডার রাজনীতির পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, একটা নির্লজ্জ দল বিজেপি। উত্তরপ্রদেশ, বিজেপি, কর্ণাটক, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র কি তৃণমূলের? সংকটের এই সময়ে গোটা দেশের সর্বনাশের মূলে এই বিজেপি। উদ্ধব ঠাকরে যখন নরেন্দ্র মোদীকে খুঁজে বেড়িয়েছেন, তখন প্রধানমন্ত্রী বাংলায় প্রচারে ব্যস্ত। অক্সিজেন নেই, জীবনদায়ী ওষুধ নেই। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়ে দিয়েছে। অন্য সময় এক দেশ, এক সংবিধান। আর এখন এক দেশ আর বিভিন্ন রকম টিকার দাম? করোনার টিক কেন্দ্র পাবে এক দামে, রাজ্যগুলি পাবে বেশি দামে, আর খোলা বাজারে বিক্রি হবে আরও বেশি দামে!এই কেলেঙ্কারিটা তো জে পি নাড্ডা চাপিয়ে দিচ্ছেন!
