সপ্তম দফায় ভোট দিলেন হেভিওয়েট প্রার্থীরা, দেখে নিন একনজরে

ভোট বড় বালাই। করোনার সংক্রমণ যতই ভয়াবহ হোক না কেন, নীলবাড়ি দখলের লড়াই চলছে সেয়ানে সেয়ানে। এক ইঞ্চিও ছাড়তে নারাজ রাজনৈতিক দলগুলি। তাই সপ্তম দফায় সকাল সকাল ভোট দিলেন হেভিওয়েট প্রার্থীরা। সেই সঙ্গে বিভিন্ন বুথ ঘুরে দেখলেন তাঁরা। একনজরে দেখে নেওয়া যাক ভোট দিয়ে কে কী বার্তা দিলেন-

সপ্তম দফার শুরুতেই সকালে স্থানীয় মন্দিরে পুজো দিয়ে বুথ পরিদর্শন করেন বালিগঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। অন্যদিকে ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভোট দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে তিনি জানান, ‘ আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী। বিগত দফার ভোটে আমি যা জানতে পেরেছি, তাতে আমরাই জিতছি।’

অন্যদিকে ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন বুথ ঘুরে দেখেন। ফিরহাদ হাকিমকে নিশানা করে সাংবাদিকদের তিনি অভিযোগ করেন, তৃণমূল তাঁর উপর হামলা চালিয়েছে। এদিকে ভোট দিতে গিয়ে পাণ্ডবেশ্বরে বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে বুথে ঢুকতে বাধা দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। লস্করবাঁধ স্কুলে মোবাইল নিয়ে বুথে ঢুকতে যান জিতেন্দ্র।  এরপর নিয়ম মেনে মোবাইল জমা দিয়েই ভিতরে ঢোকেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি।

এদিন ভবানীপুরের কাঁসারিপাড়ায় মন্মথনাথ হাইস্কুলে ভোট দেন তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ভোট কেন্দ্রে করোনা বিধি মানা হচ্ছে না বলে নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করেন তিনি। এরপর বুথ পরিদর্শনে  বেরোন তিনি। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ঠান্ডা মাথায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে শোভনদেব বোঝান যে একজন প্রার্থী বুথে ঢুকতে পারেন । এরপর কেন্দ্রীয় বাহিনী তাঁকে বুথে ঢুকতে দেয়। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, “কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বোঝানোর পর আমাকে ঢুকতে দিয়েছে। এখনও অবধি এখানে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে।”

অন্যদিকে মা-কে নিয়ে বালিগঞ্জ বিধানসভার মর্ডান হাইস্কুলে ভোট দিলেন তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান।  ভোট পর্ব সেরে বুথ থেকে বেরিয়ে এসে তিনি জানান, তিনি যেখানেই ভোটের প্রচারকাজে গিয়েছেন, সেখানেই মানুষকে শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই সমর্থন করতে দেখেছেন ৷ প্রচার নিয়ে কমিশঙ্কে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘এতদিন নির্বাচন কমিশন কি ঘুমোচ্ছিল ? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখনই জানালেন যে তিনি আর কোনও জনসভা করবেন না ৷ ঠিক সেসময়েই নির্বাচন কমিশন সব নির্বাচনী জনসভা বন্ধ করার কথা ঘোষণা করল ৷’

পার্ক স্ট্রিটের জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া বিল্ডিংয়ে সোমবার ভোট দিলেন বালিগঞ্জের সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী ফুয়াদ হালিম। নিজের কেন্দ্রে যাওয়ার আগে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য দুই সরকারকেই দুষলেন বাম প্রার্থী।

কুলটি বিধানসভার চলবলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৩ নম্বর বুথে সপরিবারে ভোট দিলেন নন্দীগ্রামের সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। ভোট প্রক্রিয়া পরিচালনা নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করেন তিনি।

সপ্তম দফার শুরুতেই বুথে বুথে ঘুরছেন কলকাতা বন্দরের তৃণমূল প্রার্থী ফিরহাদ হাকিম।

Advt

 

Previous articleঅক্সিজেনের বদলে কি রোগী মন কি বাত শুনবেন? মালদহের পথে মোদিকে ধুয়ে দিলেন কুণাল
Next articleকরোনা মোকাবিলায় ব্যর্থতা: এবার খোদ অর্থমন্ত্রী নির্মলার স্বামীর নিশানায় মোদি