করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থতা: এবার খোদ অর্থমন্ত্রী নির্মলার স্বামীর নিশানায় মোদি

দেশে করোনা (covid) সুনামি চলছে। আর তা মোকাবিলায় ব্যর্থ মোদি সরকার। চাঁচাছোলা ভাষায় প্রধানমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করে এই পরিস্থিতির জন্য তাঁকেই দায়ী করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের স্বামী পারাকল প্রভাকর। অর্থনীতিবিদ প্রভাকর মোদির উদ্দেশে শ্লেষ ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন, সরকারের নিদারুণ ব্যর্থতা ঢাকতে প্রধানমন্ত্রীর বাকপটুতা এখন আর কাজে আসছে না। মানুষের প্রতি অসংবেদনশীল আচরণ করলে রাজনৈতিক পুঁজি ও জনপ্রিয়তা উবে যেতে বেশি সময় লাগে না।

করোনার (covid) দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় মোদি সরকার সঠিক সময়ে সক্রিয় হয়নি বলে সমালোচনায় সরব হয়েছেন দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের স্বামী (Nirmala Sitharaman’s husband) পারাকল প্রভাকর (Parakala Prabhakar)। তাঁর কটাক্ষ, মানুষকে সাহায্য না করে শিরোনামে আসার চেষ্টা করছে সরকার। কর্তব্য পালনের বদলে দায় এড়াতে চাইছে। ইউটিউব চ্যানেলে প্রভাকর এও বলেছেন, করোনা সঙ্কটে ইতিবাচক পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং (Manmohan Singh)। কিন্তু তার পাল্টা অসভ্য প্রতিক্রিয়া দিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা।

আরও পড়ুন-ক্রিকেটাররা আইপিএল না খেলে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়ুক, চান অভিনব

প্রভাকর (Parakala Prabhakar) বলেন, গোটা বিশ্বের মধ্যে ভারতে করোনা সংক্রমণ তীব্র গতিতে বাড়ছে। সংক্রমণ ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান রেকর্ড ভাঙছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এখন আপৎকালীন পরিস্থিতিতে। এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। নিজেদের লোকের মৃত্যু হলে কষ্টদায়ক, আর অন্যদের বেলায় শুধুই পরিসংখ্যান! মৃত্যু ও সংক্রমিতের সংখ্যা কম করে দেখানো হচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। পরীক্ষার পরিকাঠামোও ভেঙে পড়েছে। চাপ সামলাতে পারছে না হাসপাতাল ও ল্যাবগুলি। হাসপাতালের বাইরে অ্যাম্বুল্যান্সের ছবি, শ্মশানে গণচিতা জ্বলছে, হাসপাতালে জায়গা নেই, রোগীর পরিজনরা কাঁদছেন- সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সব ছবি ভেসে আসছে। প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি নিশানা করে সীতারমনের স্বামী প্রভাকর বলেন, সরকারের ব্যর্থতা ও হৃদয়হীনতা ঢাকতে প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা ও বাকপটুতা এখন আর কাজে লাগছে না। পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা স্পর্শ করেনি সরকারকে। কিন্তু মনে রাখা দরকার জনপ্রিয়তা ও রাজনৈতিক পুঁজি উবে যেতে সময় লাগে না। এই ধরনের অসংবেদনশীল আচরণ বেশি দিন টেকে না। সহানুভূতি, স্বচ্ছতা ও সহমর্মিতাই থেকে যায় চিরকাল। দুটির মধ্যে একটা বিকল্প বেছে নিতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে। তাঁর এই নীরবতা বেশিদিন চলবে না। এবার তো তিনি পদক্ষেপ করুন।

Advt

Previous articleসপ্তম দফায় ভোট দিলেন হেভিওয়েট প্রার্থীরা, দেখে নিন একনজরে
Next articleশোভনদেব এবং দেবাশিস কুমারকে বুথে ঢুকতে বাধা, অভিযোগের তির কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে