শোভনদেব এবং দেবাশিস কুমারকে বুথে ঢুকতে বাধা, অভিযোগের তির কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে

বৈধ পরিচয় পত্র থাকা সত্বেও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া হল। সোমবার সপ্তম দফা  (7th phase assembly election ) ভোটের দিন পরপর এরকম দুটি ঘটনা ঘটায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাল তৃণমূল। এদিন সকাল থেকেই দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী(Rasjbihari constituency) বিধানসভা কেন্দ্রের বুথে ঘুরে ভোট তদারকি করছিলেন তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস কুমার (Debashis Kumar)। অভিযোগ, সেই সময় পর পর চারটি বুথে তাঁকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। অন্যদিকে ভবানীপুর (Bhawanipur constituency) বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কেও (shobhondeb Chatterjee) বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে । দুটি ক্ষেত্রেই অভিযোগের তীর কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের দিকে। তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট প্রার্থীরই অভিযোগ তাঁদের কাছে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া বৈধ পরিচয় পত্র থাকা সত্ত্বেও বাহিনীর জওয়ানরা তাদের ঢুকতে দেয়নি । পরিচয় পত্র দেখিয়ে বার বার বলা সত্ত্বেও তারা বুথে প্রবেশে বাধা দেয়। তৃণমূল প্রার্থীরা পুলিশের বিরুদ্ধেও অসহযোগিতা ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনেন। দুটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ কলকাতাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। যদিও ভবানীপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ (rudronil Ghosh)তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বহিরাগতদের নিয়ে আসার অভিযোগ এনেছেন। রুদ্রনীল বলেছেন, ‘শোভন বাবুর বয়স হয়েছে। এই বয়সে তাঁর এত বুথে বুথে হতে ঘোরার প্রয়োজনই বা কি?’ যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

দ্রুত খবর ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফ দ্রুত হস্তক্ষেপ করে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়। এরপরেই কমিশন স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়, বৈধ পরিচয়পত্র থাকলে প্রার্থীদের বুথে ঢোকা থেকে আটকানো যাবে না।

Previous articleকরোনা মোকাবিলায় ব্যর্থতা: এবার খোদ অর্থমন্ত্রী নির্মলার স্বামীর নিশানায় মোদি
Next articleঅভিযোগ পাল্টা অভিযোগে সাময়িক উত্তেজনা, গরম উপেক্ষা করে ভোটের লাইনে অপেক্ষা