তরুণীর মৃত্যু নিয়ে জট : অভিযোগের তির শিল্পপতির বিরুদ্ধে

খায়রুল আলম (ঢাকা) : তরুণীর হত্যা না আত্মহত্যা এই নিয়ে বেঁধেছে জট। যদিও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এখনও পায়নি পুলিশ। তবে এই নিয়ে জোর আলোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অভিযোগের তির বাংলাদেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের এমডির বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেম ছিল ওই গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের।

এদিকে সোমবার রাতে কলেজ পড়ুয়া দ্বাদশের ওই ছাত্রী মুনিয়ার দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশান এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের লোকজন ছাড়াই রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট কলেজে পড়ুয়া ছাত্রী মুনিয়া একলাখ টাকা বাড়ি ভাড়ায় থাকতেন। জানা গিয়েছে, ফ্ল্যাট ভাড়া সহ সমস্ত কিছুর যোগান দিতেন দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের Basundhara Group ম্যানেজিং ডিরেক্টর সায়েম সোবহান আনভীর। মামলার অভিযোগ থেকে এমন তথ্যই জানা গেছে।

গুলশানের ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। সোমবার রাতে গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করেন ওই তরুণীর বোন নুসরাত জাহান। মামলায় ওই তরুণীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে আসামি করা হয়েছে। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান এ তথ্য জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন-১ জন করোনা রোগীর থেকে সংক্রমিত হতে পারেন ৪০৬ জন! বলছে ICMR

এর আগে সোমবার রাতে গুলশান-২-এর ১২০ নম্বর রোডের ১৯ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান। তাদের বাড়ি কুমিল্লার উজির দিঘির পাড়। মাসে প্রায় এক লাখ টাকা ভাড়ায় গুলশানের ওই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন মোসারাত। তিনি একাই থাকতেন ফ্ল্যাটে। তার পরিবার থাকে কুমিল্লায়। মুনিয়া মিরপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন বলেও জানা গেছে।

নিহত তরুণীর স্বজনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মুনিয়া তার বড় বোনকে ফোন করে বলেছিলেন ঝামেলায় পড়েছেন। এ কথা শুনে তার বোন সোমবার কুমিল্লা থেকে ঢাকায় এসে সন্ধ্যার দিকে ওই ফ্ল্যাটে যান। দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলেও বোন দরজা খুলছিলেন না। এরও কিছুক্ষণ আগে থেকে তিনি মুনিয়ার ফোন বন্ধ পাচ্ছিলেন। এরপর পুলিশকে খবর দিলে রাতে বাইরে থেকে দরজার তালা খুলে মুনিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশের গুলশান জোনের এক কর্মকর্তা বলেন, তারা ভবনটির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, মুনিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপসহ ডিজিটাল ডিভাইসগুলো জব্দ করা হয়েছে। এগুলো যাচাই করে তারপর সব বলা যাবে। রাতে মরদেহ উদ্ধারের পর ওসি আবুল হাসান বলেন, ‌‘প্রাথমিকভাবে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের আগে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে না।’

Advt