রাত পোহালেই রাজ্যে অষ্টম দফার নির্বাচন। সেই ভোটের আগে শিরোনামেই রইলেন বীরভূমের অনুব্রত। বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনী বা তাঁর সঙ্গে থাকা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দিষ্টভাবে কিছু না জানিয়েই হঠাৎ বেপাত্তা হয়ে যান বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। হন্যে হয়ে ঘোরাঘুরির পর শেষপর্যন্ত তাঁর খোঁজ মেলে তারাপীঠে। এই ঘটনার জন্য কমিশন সতর্ক করে অনুব্রত মণ্ডলকে। যদিও এই ঘটনার জন্য সরাসরি নির্বাচন কমিশনকেই দুষলেন অনুব্রত।

বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজের ‘বেপাত্তা’ হওয়ার ব্যাখ্যা দেন অনুব্রত। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় আমার দোষ কোথায়? এটা তো যাঁরা আমাকে খুঁজে পায়নি, তাঁদের দোষ। আমি কী করব? আমি তারাপীঠে পুজো দিয়ে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম। শেষপর্যন্ত জেলাশাসক ফোন করলেন। আমি বললাম কোথায় আপনার লোক? উনি বললেন, যাচ্ছে যাচ্ছে। একটু দাঁড়ান। আমি যদি চলে যেতাম তাহলে আমাকে ধরতেই পারত না। আমিই অপেক্ষা করলাম।’

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কমিশন জানায়, আগামী ৩০ এপ্রিল সকাল ৭টা পর্যন্ত নজরবন্দি থাকবেন তৃণমূলের বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত। ভিডিয়োগ্রাফির মাধ্যমে নজর রাখা হবে অনুব্রতর উপর। এ ছাড়া তাঁর সঙ্গে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং এগ্জিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট।

তারপর বুধবার সকালে গাড়ি করে বের হন অনুব্রত। তারপর দশ মিনিট বাদে তাঁর গাড়ি অনুসরণ করতে শুরু করে কমিশনের আধিকারিকরা। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ বেপাত্তা হয়ে যায় অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি। হন্যে হয়ে অনুব্রতকে খুঁজতে থাকেন কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রায় আড়াই ঘণ্টার পর তারাপীঠ মন্দিরে দেখা যায় তাঁকে। তারা মায়ের গর্ভগৃহে গিয়ে পুজো দেন অনুব্রত।

আরও পড়ুন- অমানবিক দৃশ্য মহারাষ্ট্রে! এক অ্যাম্বুলেন্সেই ২২ মৃতদেহ