Sunday, August 24, 2025

#ResignModi-তে আপত্তি, মোদির পদত্যাগের দাবি জানানো সমস্ত পোস্ট মুছল ফেসবুক!

Date:

দেশের ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রের অদূরদর্শিতাকে দায়ী করে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন বিরোধীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও। প্রধানমন্ত্রী(Prime Minister) নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) পদত্যাগ চেয়ে #ResignModi ট্রেন্ড করতে শুরু করে টুইটার এবং ফেসবুকে। এমনই হ্যাশট্যাগ দেওয়া কয়েক হাজার পোস্ট এবার আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ফেসবুকের(Facebook) বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় সরকারের(central government) নির্দেশ মেনে ফেসবুক এমন পদক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও ভুলবশত ওই হ্যাশট্যাগ আটকে দেওয়া হয়েছিল বলে বার্তা দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

জানা গিয়েছে, মোদির পদত্যাগ দাবি করে বুধবার সকাল থেকেই টুইটার ও ফেসবুকে রীতিমতো ট্রেন্ড করতে শুরু করেছিল #ResignModi। বৃহস্পতিবার সকালে টুইটারে ট্রেন্ডিংয়ে ছিল এই হ্যাশট্যাগ। কিন্তু বুধবার বেশ কিছুক্ষণের জন্য এই হ্যাশট্যাগ বন্ধ করে দেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। #ResignModi দিয়ে কিছু লেখা পোস্ট করতে গেলেই সেটি ‘ব্লক’ করে দেওয়া হয়েছে বলে বার্তা ভেসে ওঠে। শুধু তাই নয়, ওই হ্যাশট্যাগ দেওয়া সমস্ত পোস্টও সরিয়ে নেওয়া হয়। বলা হয়, ওই হ্যাশট্যাগ ফেসবুকের নীতির পরিপন্থী। তার জেরে বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য ওই হ্যাশট্যাগ দেওয়া কোনও লেখা পড়া যাচ্ছিল না। তবে ভারতে পড়া না গেলেওআমেরিকা-ব্রিটেনের সহ অন্যান্য দেশগুলিতে কোনও সমস্যা হয়নি। এর পর ফেসবুকের বিরুদ্ধে সরব হন ভারতের নেটিজেনরা। অভিযোগ তোলা হয় কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে মানুষের বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। দাবি ওঠে ফেসবুক বয়কটের। বয়কটের দাবি ওঠার অবশ্য ঘন্টা তিনেক পরই ফের এই হ্যাশট্যাগের ব্লক খুলে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন:করোনা আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট

পাশাপাশি অনিচ্ছাকৃত এ ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন ফেসবুকের মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন। তিনি বলেন, “ভুলবশত সাময়িক ভাবে ওই হ্যাশট্যাগ আটকে দেওয়া হয়েছিল। তবে তা ভারত সরকারের তরফে নির্দেশ এসেছিল বলে নয়। সেটি আবার চালু করে দিয়েছি আমরা।”। তবে ফেসবুকের এই দাবি ধোপে টিকছে না। তার অন্যতম কারণ করোনা পরিস্থিতিতে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার মোদি সরকারের সমালোচনায় করা কোনও পোস্ট ফেসবুক থেকে ব্লক করে দেওয়ার ঘটনা ঘটলো। উল্লেখ্য, এর আগে কৃষক আন্দোলন এবং কোভিড সঙ্কট নিয়ে প্রকাশ্যে সরকারের সমালোচনা করায় মোছা হয়েছিল সাংসদ-বিধায়কদের টুইট। যা নিয়ে শুরু হয় তীব্র বিতর্ক। অভিযোগ ওঠে, ঘৃণা ভাষণ ছড়ানো হোক বা বিদ্বেষমূলক পোস্ট বিজেপি নেতাদের প্রতি বরাবরই ‘সদয়’ ফেসবুক। তবে বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও রকম সমালোচনা করলে সেই সমালোচনা থামাতে উঠেপড়ে লাগে সোশ্যাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষ।

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version