কোভিড পরিস্থিতিতে মে দিবসের কর্মসূচিতে বদল সিপিএমের

মে দিবস। এই দিনটিকে প্রতি বছরই বেশ গুরুত্ব দিয়ে পালন করে সিপিএম। সকালে পতাকা উত্তোলন থেকে শুরু করে আলোচনা সভা, জনসভা করা হয়ে থাকে। মে দিবসের গুরুত্ব, তাৎপর্য তুলে ধরা হয় সাধারণ মানুষের কাছে। মূলত সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটু এবিষয়ে মুখ্য ভূমিকা নিলেও ছাত্র- যুব- মহিলা সংগঠনের তরফেও কর্মসূচি নেওয়া হয়ে থাকে।
কিন্তু এবছর পরিস্থিতি ভিন্ন। সংক্রমণের জেরে কোনও জমায়েত করা যাচ্ছে না। সেই কথা মাথায় রেখেই অভিনব পদ্ধতিতে কর্মসূচি করা হয়েছে ।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে এবার মে দিবসের কর্মসূচিতে বিস্তর বদল আনল সিপিএম। শনিবার মে দিবস। পরদিন, রবিবার ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের গণনা এবং ফলপ্রকাশ। কিন্তু গণনা পর্ব সরিয়ে ওই দিনটিকে কোভিড সংক্রমণের পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য উৎসর্গ করতে চান রাজ্য সিপিএমের নেতারা।

দলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এই দিনটিকে ‘শ্রমিক দিবস’ হিসেবে পালন করেন রাজ্যের বাম নেতারা। ওই দিনটিতে সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটু রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জমায়েত, রক্তদান শিবির, প্রচারসভা, আলোচনাচক্র-সহ একাধিক কর্মসূচি নেয়। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতি বিপজ্জনক আকার নেওয়ায় রাজ্যে ওই দিন জনস্বাস্থ্য কর্মসূচি নিয়ে রাস্তায় নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম-সহ সংযুক্ত মোর্চা। ১ মে ‘মে দিবসে’ কলকাতা-সহ সারা রাজ্যে বিকেন্দ্রীকৃতভাবে কোভিড সচেতনতা প্রসারের কর্মসূচি পালন করার কথা জানিয়েছেন সংযুক্ত মোর্চার তরফে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। তিনি বলেছেন, ‘‘১ মে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত জেলায় জেলায় কোভিড সচেতনতা প্রসারের কর্মসূচি পালিত হবে। জনগণকে সাহায্যের জন্য জেলায় জেলায় হেল্প লাইন চালুর উদ্যোগও নেওয়া হবে।’’ যদিও রাজ্য সিপিএমের শাখা সংগঠনের পক্ষ থেকে বেশকিছু হেল্প লাইন ইতিমধ্যেই খোলা হয়েছে। দলীয় স্তরে পর্যালোচনা করে সিপিএম নেতৃত্ব জেনেছেন, এমন কঠিন পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত হেল্প লাইন নম্বর চালু করলে সাধারণ মানুষের সুবিধা হয়। তাই মে দিবসের দিনটিতেই নতুন আপৎকালীন নম্বর চালু করতে চাইছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।সিটুর পাশাপাশি ছাত্র ও যুব সংগঠনও কোভিড সংক্রমণের পরিস্থিতিতে পরিষেবা দিতে সরাসরি ময়দানে নেমেছে।

Advt