দোসরা মে ভাগ্যনির্ধারণ, তার আগেই ২০০ আসনে বিজেপি জিতবে দাবি করে ট্রোলড হলেন হিরণ

মিটেছে ভোট গ্রহণ পর্ব। এবার অপেক্ষা ফলাফলের। তাঁর আগেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখা গিয়েছে ‘এক্সিট পোল’। তার দিকে নজর রেখেছেন সকল প্রার্থী। তবে সংবাদমাধ্যমের ‘এক্সিট পোল’ দেখার পর বিজেপি প্রার্থী তথা অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, ২০০টিরও বেশি আসন নিয়ে বাংলায় ক্ষমতায় আসবে বিজেপি(BJP)। আর তাঁর পরই রীতিমত ট্রোল শুরু হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবারের সমীক্ষা দেখার পর নিজের ফেসবুকে হিরণ লেখেন, “২০১৯ লোকসভায় এক্সিট পোলস বলেছিল বিজেপি ৮ পাবে, পেয়েছিল ১৮, ২০২১ বিধানসভায় বলছে বিজেপি ১২১ অর্থাৎ বিজেপি ২০০ প্লাস।”
বিজেপি প্রার্থীর এই পোস্টের উত্তরে কেউ কেউ লিখেছেন, “জানো তো আমি ও নিজেকে অনেক সময় এই ভাবেই সান্ত্বনা দেই… যেমন ধরো আমি NEET পরীক্ষা দিয়েছিলাম ডাক্তারিতে চান্স পাওয়ার জন্য কিন্তু পাইনি, কিন্তু আমি ভেবেছিলাম আমি পেয়ে গেছি…আর স্বপ্নে ডাক্তারিও পড়ছি।” কেউ আবার লিখেছেন, “আপনিও তো বারবার ছবির প্রমোশনে গিয়ে বলতেন,”এটা অন্যরকম ছবি…সুপারহিট হবেই…সুপারফ্লপ হত।” তবে হিরণের অভিনয় পছন্দ ছিল বলেই জানিয়েছেন তিনি। তবে অভিনেতা রাজনীতিতে আসায় কতটা কষ্ট পেয়েছেন তা জানাতেও ভোলেননি। এর মধ্যেই একজন আবার জানিয়েছেন, ফলাফল যাই হোক হিরণ জিতবেন না তা তিনি জানেন। একজন আবার লিখেছেন, “সে নাই হল, কিন্তু আগের পার্টিতে তো কাজ করতে পারছিলে না। তা এখন তো করোনা পরিস্থিতিতে ব্যাপক কাজের সুযোগ এসেছে নেমে পড় মানুষের সেবা করতে, ঘরে বসে না থেকে। সঙ্গে পাজির হাত পা ঝাড়া ব্যাটা রুদ্রটাকেও সঙ্গে নিও।”
প্রচারের কাজে তৃণমূল তাঁকে কাজে ব্যবহার করে বলিয়ে ঘাসফুল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান হিরণ। এরপর খড়গপুর সদর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে তাঁকে দাঁড় করান হয়। কিন্তু সেখানে তাঁর জয় বা পরাজয় হবে কিনা, তা নির্ধারণ করবে দোসরা মে।

Advt