ত্রিপুরায় অতিথিদের গলাধাক্কা দিয়ে সাসপেন্ড জেলাশাসক

নিজের দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছিলেন। নৈশ কার্ফু চলছে ত্রিপুরায়। সংক্রমণে জর্জরিত ত্রিপুরার পরিস্থিতির হাল-হকিকত দেখতে রাতে বেরিয়েছিলেন। হাজির হয়েছিলেন কোভিড বিধি না মেনে চলা দুই বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে। নিয়মের ব্যতিক্রম দেখে দ্রুত বন্ধ করেছিলেন অনুষ্ঠান । শেষ পর্যন্ত সেই জেলাশাসককে সাসপেন্ড করল ত্রিপুরা প্রশাসন। পুরো ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, লাঠিপেটা করে অতিথিদের বের করে দিচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। এমনকি বিয়ের কনেকেও মঞ্চ থেকে নেমে আসতে বলছেন জেলাশাসক।
নৈশ কার্ফু ও করোনা বিধি ভেঙে বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান আয়োজন করায় উপস্থিত ব্যক্তিদের উচিত শিক্ষা দিতে দাবাং রূপ ধারণ করেছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক শৈলেশ কুমার যাদব। অতিথিদের গলা ধাক্কা দেওয়ায় এ বার তাকেই সাসপেন্ড করা হল। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
কোভিড বিধি ও ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করায় সকলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন তিনি। গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন পুরোহিতকে। স্টেজ থেকে বর-কনেকেও নামিয়ে ধমক দেওয়ার পাশাপাশি গ্রেফতারির হুমকি দেন।
তার এই আচরণের ভিডিও ভাইরাল হতেই একদিকে প্রশংসা অন্যদিকে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। রীতিমতো দুভাগ হয়ে যান নেটিজেনরা । একদল তার কর্তব্যের প্রশংসা করলেও আর একদলের মত , যে ভাষা ব্যবহার তিনি করেছেন তা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। এরপরই নিজের এই আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন জেলাশাসক। বলেন, তিনি শুধু কর্তব্য পালন করতে গিয়েছিলেন। কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্য ছিল না । তবুও শেষ রক্ষা হলো না।
মুখ্যসচিবের নির্দেশেই দুই আইএএস অফিসারের অধীনে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলাশাসকের হানা ও বিরূপ আচরণই নিয়ে তাঁরা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।