আঙুর ফল টক, ভোট বিপর্যয়ের ড্যামেজ কন্ট্রোলে ৩ থেকে ৭৭-এ মজেছেন দিলীপ

চলুন ফিরে যাই ৫ বছর আগে। ২০১৬ সাল। বিধানসভা ভোট। মূল লড়াই বাম;কংগ্রেস জোটের সঙ্গে শাসক তৃণমূলেট8। প্রচুর অপপ্রচার; কুৎসার পরেও ২১১ আসন নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য বাংলায় ক্ষমতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর গঙ্গার বুক দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। রাজনীতির পালা বদল হয়েছিস। বাম-কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে প্রধান বিরোধী শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি।

বিশেষ করে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্য বিজেপির বিস্তার। দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে হারাতে মোদি-শাহ ছুটে এসেছেন দিল্লি থেকে। কিন্তু নিট ফল জিরো। বাংলা নিজের মেয়েকেই চেয়েছে।

বাংলা দখলের লড়াইয়ে রণনীতি সাজানোর দায়িত্বে ছিলেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিপর্যয়ের পর স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে তাহলে দায়ভার কি মোদী-শাহের? যদিও পার্টি লাইনে হেঁটে এই ফলাফল মোদি-শাহের ব্যর্থতা বলে মানতে চান না দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর যুক্তি, “৩ থেকে ৭৮ আসনে পৌঁছে গিয়েছে বিজেপি (BJP)। বাংলার রাজনীতিতে এই উত্থান ঐতিহাসিক।”

বিজেপির রাজ্য সভাপতি (West Bengal State BJP President) বলেন,”ব্যর্থতা বলে আমি মনেই করি না। বাংলায় ২৬ গুণ শক্তি বেড়েছে বিজেপির। এমন সাফল্য বাংলার ইতিহাসে কে পেয়েছে? পশ্চিমবঙ্গে কেউ ৫ বছরে ৩ থেকে ৭৮ আসনে পৌঁছতে পারেনি।”

আর এখানেই দিলীপবাবুর প্রলাপ নিয়ে কটাক্ষ করছে তৃণমূল। তাঁদের বক্তব্য, যে নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ,দিলীপ ঘোষরা গণনার দু’ঘন্টা আগেও ২০০ বেশি আসন নিয়ে বাংলার মসনদে বসার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে ছিলেন, তারাই কি-না এখন অফিসিয়াল বিরোধী দল হতে পেরে আনন্দ খুঁজছেন! সত্যি, আঙুর ফল টক…!

Advt

Previous articleবুধবার সকাল ১০.৪৫ মিনিটে রাজভবনে জগদীপ ধনকড় শপথগ্রহণ করাবেন মমতাকে
Next articleব্রেকফাস্ট নিউজ