দলবদলুদের ‘ওয়েলকাম’ মমতার!

সোমবার কালীঘাটের বাড়ির সাংবাদিক বৈঠক থেকে ‘দলবদলু’দের জন্য বিশেষ বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। তৃণমূল সুপ্রিমোর স্পষ্ট কথা, আসতে চাইলে আসতেই পারেন তাঁরা।” কার্যত তৃণমূলের তরফ থেকে যে দল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যাওয়া নেতা-মন্ত্রীদের ‘ঘরে ফেরা’তে কোনও বাধাই নেই সেই বার্তাই দিলেন মমতা।
ভোটের আগেই দলবদল করে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন একদল নেতা নেত্রী । কে ছিলেন না সেই দলে। সব্যসাচী দত্ত, জিতেন তিওয়ারি, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশাখী ডালমিয়া বা প্রবীর ঘোষালের মতো নেতা নেত্রী । যদিও দলবদল করেও ভোটবাক্সে তাদের কারোরই কপাল ফেরেনি। গেরুয়া শিবিরে দল বদল করে যাওয়া সেই নেতা-নেত্রীদের ঘরে ফেরার বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী।
আগামী ৭ তারিখ তৃতীয়বারের জন্য মন্ত্রিসভা গঠন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তার আগে সোমবার কালীঘাটে সাংবাদিক বৈঠকে নেত্রীর এই বার্তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ।

সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া এই নেতা-নেত্রীদের জেতাতে প্রচারে দেখা গিয়েছে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে। ভোটপ্রচারে বাংলায় বারবার এসেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মতো হেভিওয়েটরা। তবে এই দলবদলুদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন আম জনতা। ভোটবাক্সে তারই প্রতিফলন দেখা গিয়েছে।
প্রত্যেকেরই কমবেশি অভিযোগ ছিল যে, দলে থেকে তারা কাজ করতে পারছেন না। যদিও তৃণমূল নেত্রীর প্রতি তাদের কোনও ক্ষোভ নেই বলে প্রত্যেকেই জানিয়েছিলেন। তাই নেত্রীর বার্তা পেয়ে তারা কি আবার ফের দলে ফেরার জন্য তোড়জোড় শুরু করবেন? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন ।

Advt

Previous articleখানাকুলে খুন তৃণমূলকর্মী, অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে
Next articleভোট-পরবর্তী হিংসার অভিযোগ বঙ্গে, রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক