প্রচুর পরিমাণে ( wastage of coronavirus) ভ্যাকসিন নষ্ট হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনো পর্যন্ত দেশের ১০ টি রাজ্য সবথেকে বেশি ভ্যাকসিন নষ্ট করেছে। এর মধ্যে লাক্ষাদ্বীপ, হরিয়ানা, আসাম, রাজস্থান, বিহার, পাঞ্জাব, দাদরা নগর হাভেলি, মেঘালয়, মণিপুর এবং তামিলনাড়ু রয়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগেও ভ্যাকসিন নষ্টের দিক থেকে হরিয়ানা পঞ্চম স্থানে থাকলেও শুক্রবার দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছে গিয়েছে। লাক্ষাদ্বীপের পরে হরিয়ানা। ৬.৫৪ শতাংশ ডোজ ভ্যাকসিন অপচয় হয়েছে। যদিও মে মাসে হরিয়ানায় এই পরিসংখ্যান ছিল ৫.৭২ শতাংশ। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মতে, এই জীবনদায়ী ভ্যাকসিন নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করা যেতেই পারে। শুধু মেনে চলতে হবে বিশেষ কয়েকটি নিয়ম। বেশ কয়েকটি রাজ্য ইতিমধ্যে এটি প্রমাণ করেও দেখিয়ে দিয়েছে যে নষ্ট না করে কী করে টিকাকরন করা যায়। তবে কিছু রাজ্য সুব্যবস্থাপনার অভাবে এখনও ভুগছে। তাই এই সব রাজ্যগুলির জাতীয় রেটিং খুব খারাপ এবং এই সব রাজ্যগুলিকে নতুন ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হবে না। এই রাজ্যগুলির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত নতুন ভ্যাকসিন সরবরাহ সীমিত পরিমাণে করা হবে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে।

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন ডোজের অপচয় রোধের ওপর বেশি জোর দিয়েছিলেন। এই বৈঠকে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন।কিন্তু এখনও কিছু রাজ্য রয়েছে যেখানে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। তামিলনাড়ু একমাত্র রাজ্য যেখানে ৫ থেকে ৭ মে-র মধ্যে ভ্যাকসিন অপচয়ের হার ৮.৮৩ থেকে কমে ৩.৯৮ শতাংশে এসেছে। বিহারও ক্রমশ অসতর্ক হয়ে পড়ছে। ৫ মে অবধি বিহারে ৪.৯৫ শতাংশ ডোজ নষ্ট হয়েছে । যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.১৩ শতাংশে। পাঞ্জাব ৪.৯৮ শতাংশ ভ্যাকসিন নষ্ট করেছে। কেন্দ্র জানিয়েছে যে শুক্রবার পর্যন্ত লাক্ষাদ্বীপে ডোজগুলির ২১.৯৩ শতাংশ অপচয় হয়েছে। হরিয়ানায় ৬.৫৪ , অসমে ৬.০৪ , রাজস্থানে ৫.৩৬ , বিহারে ৫.১৩ , পঞ্জাবে ৪.৯৮, দাদরা নগর হাভেলিতে ৪.৯৭ , মেঘালয়ে ৪.৮৩ , মণিপুরে ৪.১৮ এবং তামিলনাড়ুতে ৩.৯৮ শতাংশ ডোজ নষ্ট হয়েছে।
