অভিনব মাস্ক বানিয়ে গুগলের সেরা দশের তালিকায় বাংলার দিগন্তিকা

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে যখন বেসামাল গোটা দেশ, তখন ভাইরাস সংক্রমণের থাকে বাঁচার নতুন পথ দেখাল বছর ১৭এর দিগন্তিকা বসু। গড়পড়তা মাস্কের তুলনায় খানিকটা আলাদা ডিজাইনে দিগন্তিকা তৈরি করেছে একটি মাস্ক। বায়ুবাহিত ধুলিকণা ও ভাইরাস মারতে সক্ষম এই মাস্ক। আবার ইনহেলারেরও কাজ করবে এই অভিনব মাস্ক। দিগন্তিকার এই কীর্তিকে স্বীকৃতি দিয়েছে গুগুল। ‘অনুপ্রেরণামূলক ডিজাইন’ বিভাগের সেরা দশে স্থান করে নিল বর্ধমানের কন্যা।
গত বছর লকডাউনের সময় ডিটরেন্ট ইনহেলার মাস্ক তৈরি করেছিল একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিগন্তিকা। দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনস্থ ন্যাশনাল ইনোভেশন ফাউন্ডেশন (NIF)-এর একটি প্রতিযোগিতায় তাঁর তৈরি মাস্ক যথেষ্ট সাড়া ফেলেছিল। সহজে , খুবই কম খরচে এই মাস্ক তৈরি করেছে সে। এই মাস্ক করোনা মোকাবিলায় সাহায্য করবে বলেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা। মুম্বইয়ের মিউজিয়াম অব ডিজাইন এক্সলেন্সের সাহায্যে এই মাস্ক তৈরি করেছে দিগন্তিকা। ইতিমধ্যেই তাঁর তৈরি মাস্কের বিষয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ভারতে যাতে এই মাস্ক দ্রুত নিয়ে আসা যায় তাঁর চেষ্টাও চলছে।
ইতিমধ্যে ১১টি উদ্ভাবনের জন্য এই বয়সেই পরিচিতি লাভ করেছে সে। দিগন্তিকা জানিয়েছে, , মাস্কটির প্রোটোটাইপ তৈরি করতে সাত থেকে আটদিন টানা লেগেছিল এই মাস্কের দুটো কাজ। এক, ভাইরাস ধ্বংস করা । দুই, বাতাসের ধুলোবালি, জীবাণু পরিশোধন করে বিশুদ্ধ অক্সিজেন শরীরে ঢোকানো। পাশাপাশি সে আরও জানায়, ‘‘আমার খুব ভাল লাগছে এটা জানতে পেরে যে আমার তৈরি ভাইরাস প্রতিরোধক মাস্ককে গুগ্‌ল আর্টস অ্যান্ড কালচার বিশ্বের সেরা ১০টি অনুপ্রেরণামূলক ডিজাইনের মধ্যে স্থান দিয়েছে।”

Advt

Previous articleমুখ পুড়ল কেন্দ্রের, অক্সিজেনের সমস্যা মেটাতে টাস্ক ফোর্স গঠন করল সুপ্রিম কোর্ট
Next articleকরোনা থেকে বাঁচতে গোমূত্র খান! দাবি বিজেপি বিধায়কের