অল্প মাইনের অস্থায়ী চাকরি। তা থেকে অর্থ বাঁচিয়ে সাধারণ গরিব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন কোচবিহারের অমরতলার রানা। সাইকেল চেপে খাবার সামগ্রী নিয়ে হাজির হচ্ছেন হত দরিদ্র কিছু মানুষের দরজায়। করোনা পরিস্থিতিতে যাদের রোজগারের সুযোগ নেই। দু’বেলা খাবার জোটানো প্রায় অসম্ভব। তাদের পরিবারের ভরসা রানা। কখনো তাকে দেখা যাচ্ছে পথচলতি সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে কোন আবার কখনো মাস্ক হাতে রাস্তায় নেমে সাধারণ মানুষকে সজাগ করছেন তিনি।

কোচবিহার শহরের অমরতলাতে থাকেন রানা দাস। কোচবিহার এম জে এন হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের অস্থায়ী পিওনের চাকরি করেন তিনি। বছর সাতেক আগে বিনা চিকিতসায় মায়ের মৃত্যু হয়েছিল ক্যান্সারে৷ এরপরেই যুবক শপথ নেন মানুষের পাশে থাকার। কারোর ওষুধ কেনার জন্য আর্থিক সমস্যার কথা শুনলে নিজের সাধ্যমত পাশে দাঁড়ান। এতে খুশি কোচবিহারের পরিবার গুলি।
আরও পড়ুন-কলকাতায় চালু হলো বেনজির ‘অক্সিজেন- লঙ্গর’, বিনামূল্যে মিলবে পরিষেবা

রানা এই করোনা পরিস্থিতিতে হতদরিদ্র প্রায় সাতটি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাদের সারামাসের খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন বাড়ি বাড়ি। পাশাপাশি নিজে পথে নেমে মাস্ক বিলি করছেন। সচেতন করছেন সাধারন মানুষকে। রানা জানান, এই করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে প্রত্যেককে। তার হলুদ টি-শার্টে লেখা মানুষ মানুষের জন্য। শুখনো খাবার মাস্ক নিয়ে সাইকেল চেপে ছুঁটছেন অসহায় পরিবারগুলির বাড়িতে৷ হাসি ফোটাচ্ছেন শুখনো মুখ গুলিতে। আর তৃপ্তির হাসি হাসছেন রানা। এভাবেই মানুষের পাশে থাকতে চান তিনি৷ আর সমাজকে বার্তা দিতে চান একজন মানুষ হয়ে এই দুঃসময়ে মানুষের পাশে থাকার৷
