কলকাতায় চালু হলো বেনজির ‘অক্সিজেন- লঙ্গর’, বিনামূল্যে মিলবে পরিষেবা

অসংখ্য করোনা- আক্রান্তের প্রয়োজন দেখা দিচ্ছে অক্সিজেনের, অথচ শহরের এক মাথা থেকে অন্য মাথায় ঘুরেও রোগীর স্বজনরা পাচ্ছেন না শ্বাস চালু রাখার জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেনটুকুও৷ অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে৷

এই ভয়াবহ সমস্যা সমাধানে এবার কলকাতায় (Kolkata) চালু হলো ‘অক্সিজেন লঙ্গর’ (oxygen- langer)৷ বেহালা গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি ও IHA ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নজিরবিহীন এই পরিষেবা দেওয়া শুরু হয়েছে রবিবার থেকে৷

বেহালা গুরুদ্বার-এর সাধারণ সম্পাদক সতনম সিং আলুওয়ালিয়া বলেন,” অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যুর ঘটনা দেখেছি৷ এটা মেনে নেওয়া যায়না৷ তাই নিজেদের উদ্যোগে এই ‘অক্সিজেন-লঙ্গর’ চালু করেছি রবিবার থেকে৷”

তিনি বলেছেন, “ফার্স্ট- কাম -ফার্স্ট’-সার্ভ-এর ভিত্তিতে পরিষেবা দেওয়া হবে। পুরোপুরি বিনামূল্যে পাওয়া যাবে অক্সিজেন৷ এই লঙ্গরে এসে অক্সিজেন নিতে একটা টাকাও লাগবে না।” তিনি জানিয়েছেন, “আপাতত গুরুদ্বারায় গিয়ে পরিষেবা নিতে হবে। ভবিষ্যতে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে পরিষেবা দেওয়ারও পরিকল্পনা আছে”। সতনম সিং আলুওয়ালিয়া জানান, “পাঞ্জাবে এই ধরনের ‘অক্সিজেন-লঙ্গর’ দারুন সফল হয়েছে৷ তার পর এই প্রথম কলকাতায় এ ধরনের লঙ্গর চালু করা হলো৷ ভবিষ্যতে শহরের আরও কিছু এলাকায় এই পরিষেবা দেওয়া হবে”৷

বেহালা গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি ও IHA ফাউন্ডেশনের তরফে জানানো হয়েছে, চিকিৎসকের পরামর্শের ভিত্তিতেই অক্সিজেন দেওয়া হবে। পরিষেবা পাওয়ার জন্য প্রেসক্রিপশন আনতে হবে। তাতে বলা থাকতে হবে যে রোগীর অক্সিজেন লাগবে। সঙ্গে লাগবে আধার কার্ড। বলা হয়েছে, “কোনও রোগী অক্সিজেনের জন্য আসার পর তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। সেজন্য চিকিৎসক এবং নার্স থাকবেন। রোগীর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা এবং অন্যান্য শারীরিক মাপকাঠি পরীক্ষা করে দেখা হবে। তারপর দেওয়া হবে অক্সিজেন”৷

রবিবার থেকে বেহালায় চালু হয়েছে এই ‘অক্সিজেন লঙ্গর’।ওইদিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বেহালা গুরুদ্বারায় সেই পরিষেবা মিলেছে৷ ১৮ জন রোগীকে দেওয়া হয়েছে অক্সিজেন ৷ আজ, সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরিষেবা দেওয়া শুরু হয়েছে৷ টানা চলবে রাত ৯ টা পর্যন্ত। তবে প্রয়োজন হলে বাড়ানো হবে সময়সীমা, এমনই জানিয়েছে গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি৷

করোনা-আক্রান্ত রোগীর আত্মীয়স্বজন যখন ভেন্টিলেটর এবং অক্সিজেনের সন্ধানে দিনরাত এক করে ছুটে চলেছেন,সেই সময় বেহালা গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি ও ইন্ডিয়ান হিউম্যানেটেরিয়ান অ্যাসোসিয়েশন (IHAF) ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে অক্সিজেন না পাওয়া বহু রোগীর প্রাণ রক্ষা করবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা৷

Advt

Previous articleডেপুটি স্পিকার আশিস ব্যানার্জি, মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ
Next articleBreaking: সাংবাদিক শৌনক লাহিড়ী প্রয়াত