ঢোঁক গিললেন মুকুল, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুই

লড়াই থেকে সকালেই সরে গিয়েছিলেন মুকুল রায়। ‘অজুহাত’ দিয়েছিলেন বয়স হয়েছে। ফলে দুপুরের পরিষদীয় দলের বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীর নাম যে পরিষদীয় নেতা বা বিরোধী দলনেতা হিসাবে বিবেচিত হবে তা জানাই ছিল। উল্লেখযোগ্য যেটা হলো, দিল্লির চাপে, অনুরোধে ঢেঁকি গেলার মতো শুভেন্দুর নাম প্রস্তাব করলেন স্বয়ং মুকুল রায়।

কেন শুভেন্দুকে বিরোধী দলনেতা করা হলো? দিল্লির বিজেপি নেতাদের যুক্তি…

১. শুভেন্দু পরিষদীয় রাজনীতিতে অভিজ্ঞ। ২০০৬ সাল থেকে বিধায়ক। শুধু তাই নয় রাজ্যের বেশ কয়েকটি দফতরের প্রাক্তন মন্ত্রী। ফলে পরিষদীয় রাজনীতিতে শুভেন্দুর অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় বিজেপি।

আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই অসমে ‘লাভ জেহাদ’ বন্ধের হুঁশিয়ারি হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

২. দিল্লি বিজেপি মনে করছে, শুভেন্দুর কম বয়স। রাজ্য জুড়ে ছুটোছুটি করতে পারবেন। কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে পারবেন।

৩. শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রীকে ভোটে হারিয়েছেন। এটাকেই ইউএসপি করে আগামী দিনে বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে বিজেপির মুখ হতে পারবেন। ৫ বছরের পরের লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হবে।

বিরোধী দলনেতা হয়ে শুভেন্দু বললেন, অন্য কোনও নাম না থাকায় নির্বাচন সর্বসম্মতিক্রমে হয়েছে বলেই ধরে নিতে হয়। নব নির্বাচিত নেতাকে প্রথম মালা পরালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তারপর একে একে মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ।

Advt

Previous articleযাঁদের রোজগারের সুযোগ নেই, তাঁদের পরিবারের ভরসা রানা
Next articleবঞ্চনার অভিযোগ ঘোচাতে উত্তরবঙ্গের ভার নিজের হাতেই রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী