করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ঝাঁপিয়ে পড়তে মরিয়া মানস ভুঁইয়া

করোনা নিয়ে জেরবার এ রাজ্যও। আগামীকাল সকাল থেকে শুরু হবে কার্যত পূর্ণ লকডাউন। তার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সবংয়ের ভূমিপুত্র ডা: মানস ভুঁইয়া আজ শনিবার সবং বিডিও অফিসে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি, মূলত সেই বিষয়ে আলোচনা হয়। মতামত জানান বিডিও তুহিন শুভ্র মহান্তি, এসডিপিও (ডেবরা ) দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য , সি আই, ডেবরার প্রাক্তন বিধায়ক গীতা ভূঁইয়া ও অন্যান্য আধিকারিকরা। অঞ্চল প্রধানরা সরকারের গাইডলাইন মেনে সমস্ত দফতরকে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন।

 

এমনকি অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করতেও যাতে কেউ পিছিয়ে না যান, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়। কোয়ারেন্টাইন সেন্টার, সেফ হোম দ্রুত তৈরি করতে সবাই সহমত পোষণ করেন। প্রাক্তন বিধায়ক গীতা ভূঁইয়া বলেন, প্রয়োজনে আমি ব্যক্তিগতভাবে এই কাজে আর্থিক সাহায্য করবো। অ্যাম্বুলেন্স থেকে অক্সিজেন, সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন মন্ত্রী ডাক্তার মানস ভুঁইয়া।

আরও পড়ুন- টিকাকরণে অগ্রাধিকার পাবেন কারা, তালিকা প্রকাশ রাজ্যের

বিডিও এর নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয় এই কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য। সেই কমিটিতে আছেন পুলিশ, প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মকর্তারা। আছেন প্রাক্তন বিধায়ক গীতারানি ভূঁইয়া, পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি অমল কুমার পন্ডা, বর্তমান পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরাও। মন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, সবাইকে আগামীকাল থেকে বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। পরিজনদের শরীরের স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নিতে হবে এবং সঙ্গে সঙ্গে লিখিতভাবে অভিযোগ বিডিও অফিসে নথিভুক্ত করতে হবে । এরই পাশাপাশি, মন্ত্রীর সবং অফিসের সবাই এই বিপদের সময় মানুষের পাশে দাঁড়াবেন বলে জানান। এই ব্যাপারে কারও কোনও অজুহাত শোনা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে জরুরি ভিত্তিতে ২টি অ্যাম্বুলেন্স এবং শববাহী গাড়ি প্রস্তুত রয়েছে।

আরও পড়ুন- আগামী ১৫ দিন দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, দাপট কমছে করোনার, দাবি কেন্দ্রের

Advt

 

Previous articleকরোনার টিকা তৈরিতে ‘আপ টু দ্য মার্ক’ পেলো একটি সংস্থা, তবে বাংলাদেশের আগ্রহ চিনা ভ্যাকসিনে
Next articleফের শুরু কলকাতা পুলিশের ই-পাস, কীভাবে আবেদন করবেন দেখে নিন