রাজ্যপালের অনুমতির দিনেই গ্রেফতারের চিত্রনাট্য তৈরি হয়ে যায়

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা? হিসাব মেলাতে গিয়ে অনেকেই এ কথা বলছেন। কেন? ভোটের ফল বেরনোর কয়েক দিন আগেই ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। কেন স্পিকারের অনুমতি আগে নেওয়া হল না? প্রশ্ন উঠছে। আর সেদিনই পরিষ্কার হয়ে যায় নারদ মামলায় গ্রেফতারের চিত্রনাট্য।

২০১৬তে সাংবাদিক স্যামুয়েল ম্যাথুর স্টিং অপারেশন প্রকাশ্যে আসার পরেই অর্থ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশ কর্তা এস এম মির্জা, মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, অপরূপা পোদ্দার, সৌগত রায়, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। মির্জাকে এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়। তিনি আপাতত জামিনে মুক্ত। যে সময়ে এই ঘটনা ঘটে, তখন মুকুল, শুভেন্দু, প্রসূন, অপরূপা, সৌগত সাংসদ ছিলেন। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে লোকসভার অধ্যক্ষ ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছ থেকে অনুমতি পেতে হবে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কেন এখনও অনুমতি চাওয়া হলো না? কেন পাঁচ বছরের মধ্যে অনুমতি চাওয়া হয়নি, সে নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠছে। যাঁরা বিধায়ক তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গেলে বিধানসভার অধ্যক্ষের অনুমতি দরকার। কিন্তু সেটাও করা হয়নি। অধ্যক্ষকে উপেক্ষা করে রাজ্যপালকে দিয়ে অনুমতি নেওয়া হয়েছে। এই মামলায় এতো তাড়াহুড়ো যদি থাকে তাহলে সেই সময়ে সাংসদ থাকা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমতি চেয়ে লোকসভার অধ্যক্ষ বা রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের অনুমতি কেন নেওয়া হয়নি বিগত ৫ বছরে? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে সিবিআইকে।

Previous articleস্থিতিশীল কবি জয় গোস্বামী, কমেছে জ্বর
Next articleহাত বাড়ালেই সাহায্য, বিনামূল্যে ফুড জংশন তৃণমূলের