লকডাউন পালনে কড়া পুলিশি পদক্ষেপ দিনহাটায়

করোনা মোকাবিলায় রাজ্যে ১৫ দিনের কার্যত লকডাউন জারি হয়েছে। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই নান অজুহাতে বাইরে বেরিয়ে পড়ছেন অনেকেই। তাদের বাগে আনতে দিনহাটা শহরের একাধিক জায়গায় বসানো হয়েছে নাকা পয়েন্ট। কোনভাবেই যাতে বিধি-নিষেধের সময়সীমার পর কেউ শহরমুখী কিংবা শহর থেকে বাইরে বের হতে না পারে তার জন্য এই নাকা চেকিং বসিয়ে পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

১৫ দিনের এই বিধিনিষেধে নানা অজুহাতে অনেকেই নির্ধারিত সময়ের পরেও কোন রকম কাজ ছাড়াই ঘর থেকে বের হচ্ছেন। বিনা কারণে যারা ঘোরাঘুরি করছে তাদেরকে লাগাম টানতে পুলিশের পক্ষ থেকে দিনহাটার বিভিন্ন এলাকায় নাকা পয়েন্ট করে নজরদারি বাড়ানো হয়। কেউ সাইকেল কিংবা মোটরসাইকেল নিয়ে কোনো কাজ ছাড়াই বাইরে বেরিয়ে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ। জিজ্ঞেস করলে উত্তর আসছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঔষধ আনতে যাচ্ছি। প্রেসক্রিপশন দেখাতে চাইলে কয়েক বছরের পুরনো একটি প্রেসক্রিপশন দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আবার কখনও কখনও প্রেসক্রিপশন বাড়িতে রেখে এসেছি বলেই পার পাওয়ার চেষ্টা করছে তারা।

রোগের সংক্রমণ রুখতে কেন্দ্র রাজ্য সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন যখন নানাভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে। তখন কিছু মানুষ হেলায় অবহেলায় কাটানোর চেষ্টা করছে। মূলত তাদেরকেই বাগে আনতে পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় নাকা পয়েন্ট করেন বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পুলিশের এই ভূমিকা কে সাধুবাদ জানান অনেকেই। যারা লকডাউন ভাঙার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান অনেকেই।

দিনহাটা থানার আইসি সঞ্জয় দত্ত জানান, এই রোগ প্রতিরোধে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ১৫ দিনের বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। তা সত্ত্বেও অনেকে নানা অছিলায় ঘর থেকে বের হচ্ছে। মূলত তাদেরকে আটকাতেই নাকা পয়েন্ট করে বিশেষ নজরদারি শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন- ১১০ কিমি বাইক চালিয়ে রক্ত দিয়ে মুসলিম শিশুর প্রাণ বাঁচালেন হিন্দু যুবক

Advt

 

Previous article১১০ কিমি বাইক চালিয়ে রক্ত দিয়ে মুসলিম শিশুর প্রাণ বাঁচালেন হিন্দু যুবক
Next articleমদন মিত্র নয়, ফেসবুকে পোস্ট করছেন অ্যাডমিনরা