সম্ভবত ২৬ মে বাংলা বা ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘ যশ ‘

সম্ভবত ২৬ মে বাংলা বা ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে প্রবল সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় যশ (super cyclone Yash)। নয়াদিল্লির মৌসম ভবন (Mausam bhawan)এবং আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipur weather office) এমন সম্ভাবনার কথাই জানিয়েছে। এখনো পর্যন্ত নিম্নচাপটি বঙ্গোপসাগরের একটি অংশে কেন্দ্রীভূত হয়ে আছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আরও ঘনীভূত হতে চলেছে বঙ্গোপসাগরের উপরের থাকা নিম্নচাপ। এ দিন মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ২২ মে বঙ্গোপসাগরের উপরে উত্তর আন্দামানের পাশে একটি গভীর নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ ২৩ মে-র মধ্যে এই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এরপর তা খুব ধীর গতিতে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা উপকূলের দিকে এগোবে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, সম্ভবত ২৬ মে সন্ধ্যার দিকে এই ঘূর্ণিঝড় বাংলা এবং ওড়িশার উপকূলে প্রবেশ করবে। উপকূলে প্রবেশ করার সময় হাওয়ার গতিবেগ থাকতে পারে ৮০-৮৫ কিলোমিটার।

এদিকে প্রবল সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় (cyclone Yash) ‘যশ-এর ভ্রুকুটিতে রীতিমতো উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( chief minister Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার যশ মোকাবিলায় কী কী করনীয় তা স্থির করতে প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। নবান্নের শীর্ষ কর্তা থেকে জেলা প্রশাসন, সকলকেই মুখ্যমন্ত্রী সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। সেইসঙ্গে কলকাতা পুরসভার (disaster management team of Kolkata corporation) ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিমকেও সমস্ত রকম আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তৈরি থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। আগাম প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে উপকূলবর্তী সাইক্লোন সেন্টারগুলিকে। আগে থেকে প্রস্তুতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনকেও। ত্রাণশিবিরগুলিকে ফের নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে। ত্রাণ শিবিরগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবার, পলিথিন, পানীয় জল, শিশুখাদ্য, ও আর এস মজুদ রাখতে বলা হয়েছে। দীঘা এবং সুন্দরবনের সমুদ্র উপকূলবর্তী প্রতিটি এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করার জন্য মাইকিং এর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Previous articleনতুন নয়, আগের বেঞ্চেই আগামিকাল নারদ মামলার শুনানি
Next articleপার্ক স্ট্রিটের বহুতলে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকল মন্ত্রী