করোনার (Corona) দ্বিতীয় ঢেউ (Second Wave) আছড়ে পড়েছে। বাংলায় বিদ্যুতের গতিতে বাড়ছে সংক্রমণ। মহামারি (Pendamic) আবহতে একইসঙ্গে অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে নারদা কাণ্ড (Narada Scam)। জেলবন্দি রাজ্যের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীরা। এরই মাঝে আবার গতবার আমফানের (Amphun) ভয়ানক স্মৃতি নিয়ে বঙ্গে ফেরার আগমনী বার্তা দিচ্ছে “যশ” (Josh)! কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে এখন দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ছে কাকলি “ভাইরাস”। সোশ্যাল মিডিয়ায় যেদিকেই তাকাবেন, এখন শুধু একটাই নাম “কাকলি”! নেটিজেনদের মুখে মুখে শুধু কাকলি। কার্যত কাকলি নাম “নেট ভাইরাস” জ্বরে আক্রান্ত এই বাংলার নেটিজেনরা।
কে এই কাকলি?
বাংলাদেশের (Bangladesh) একটি ফার্নিচার প্রস্তুতকারী সংস্থা ”কাকলি ফার্ণিচার” (Kakoli Furniture)। এই সংস্থার ট্যাগ লাইন “দামে কম মানে ভালো…।”
কীভাবে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল?
মূলত বিজ্ঞাপনের বৈচিত্র ও মজাদার-বিনোদনমূলক উপস্থাপনা চিন্তাভাবনা কাকলি ফার্নিচারকে রাতারাতি বিখ্যাত করে দিয়েছে। ফুলশয্যার খাটটা অবশ্যই হতে হবে কাকলি ফার্নিচারের, না হলে যেন বিয়েটাই বৃথা! দামে কম, মানে ভালো, কাকলি ফার্নিচার। বাংলাদেশের গাজিপুরের এই ফার্নিচার সংস্থার এমন সব বিজ্ঞাপন ঘিরে নেটপাড়ায় শোরগোল। ভাইরাল মিম আর কমেন্ট ছেয়ে গিয়েছে ফেসবুক। কেউ বলছেন বন্ধুর বিয়ের ফুলশয্যায় কাকলি ফার্নিচারের খাট উপহার দেওয়ার কথা, তো কারও আবার পোস্ট, “দিদি বলেছেন মরার পর ২০০০ টাকা দেবেন, সেই টাকায় কাকলি ফার্নিচারের খাট হবে তো!”
সংস্থার বিজ্ঞাপনে আরও একটি বিজ্ঞাপনে ”গুনগুন” করে চলেছে দুটি ফুটফুটে বাচ্চা মেয়ে। কাকলি ফার্ণিচারের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা সেই ভিডিও এখন রীতিমতো গণসংক্রমণের পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফেসবুক খুললেই চোখে পড়ছে ‘দামে কম মানে ভালো কাকলী ফার্ণিচার’। শুধু তো ভিডিও নয়, ভার্চুয়াল ওয়ালে নানা অজুহাতে ”দামে কম মানে ভালো কাকলি ফার্নিচার” লিখেও দিচ্ছেন নেটিজেনরা।
“হাড় ভাঙলেও কাকলি ফার্নিচারের খাট ভাঙবে না।” এমন মিমও রাতারাতি ভাইরাল হয়েছে।বিবাহ-বাসরে উঁকি দিয়ে অল্পবয়সি দুই তরুণীর কাকলি ফার্নিচারের খাট নিয়ে কৌতুক মন্তব্যও মিম হিসাবে উঠে এসেছে। আবার কখনও এই সংস্থার খাটে বসতে দেখা গিয়েছে শাহরুখ খানকে। আবার কখনও পর্নস্টার জনি সিন্সকেও।
ভাইরাল হওয়া এই সংস্থা নিয়ে নিজস্ব ঢঙে পোস্ট করেছেন স্যান্ডি সাহা। এদিকে দেবাংশু ভট্টাচার্যের কথায়, ”বিনোদ ও কাকলীর নামের বহুল উচ্চারণ মানুষকে তিতিবিরক্ত করে তুলেছিল। মজার ছলে দুটি বিষয়কে মিলিয়ে গল্পের আকারে পাঠ করেন দেবাংশু। কীভাবে বিনোদ ও কাকলির দেখা হল, তা নিয়েও বর্ণনা দেবাংশুর। আবার ”দামে কম মানে ভালো” বিষয়টিকে ছন্দের আকারে পোস্ট করেছেন সুরকার জয় সরকার।
সব মিলিয়ে কাঁটাতার পেরিয়ে কাকলি ফার্নিচারের বিজ্ঞাপন জনপ্রিয় হয়েছে এপার বাংলাতেও। শুধু ভিডিও ভাইরাল নয়, বরং নানা মজার মজার মিমও বানিয়ে ফেলেছেন নেটিজেনরা। লকডাউন পরিস্থিতিতে এসবেই হাস্যরসের স্বাদ নিচ্ছেন অনেকেই। নেটদুনিয়ায় কাকলি ফার্নিচার নামক “ভাইরাস” কার্যত গোষ্ঠী সংক্রমণের রূপ নিয়েছে এই বাংলায়।