ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’-এর ভ্রুকুটি, কতটা ভয়ঙ্কর? কী বলছেন আবহবিদরা

পশ্চিম ভারতে যখন ‘তওতে’-র দাপট তখন পূর্বে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’-র ভ্রুকুটি। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, রবিবার একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে বঙ্গোপসাগরে। পরে তা শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা। নতুন এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘যশ’।

আমফানের (Amphan) ঠিক এক বছরের মাথায় ফের আবহবিদদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। গত বছর এই সময়েই সুপার সাইক্লোন আমফানের দাপটে বাংলার দক্ষিণ ভাগের বিস্তীর্ণ অংশ তছনছ হয়ে গিয়েছিল। এ বার পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের মায়ানমার উপকূল ও আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের মাঝে ফের নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।

আবহওয়া দফতরের ইঙ্গিত, এই নিম্নচাপটি শক্তি বাড়াতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত তা ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নেবে কি না, সে বিষয়ে এখনই নিশ্চিত ভাবে কিছু বলছেন না আবহবিদরা। প্রতি মুহূর্তে নজরদারি চলছে। যদি সত্যিই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, তা হলে এ ক্ষেত্রে তার নাম হবে ‘যশ ‘।

আবহবিদরা জানাচ্ছেন, ২১ মে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ঢুকে পড়ার কথা আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এলাকায়। মঙ্গলবার এমন তথ্য জানানোর পরেই আলিপুর হাওয়া অফিসের আবহবিদরা জানিয়ে দিলেন আরও এক তথ্য। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু এসে পড়ার দু’দিনের মধ্যেই আন্দামান ও মায়ানমার উপকূলের মাঝে নিম্নচাপ তৈরির সব রকমের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহবিদদের অনুমান ওই অঞ্চলে নিম্নচাপ তৈরি হওয়া শুধুই সময়ের অপেক্ষা। মৌসম ভবনের দেওয়া দু’সপ্তাহের আউটলুক থেকে যে বিষয়টি মোটামুটি বলে দেওয়া যায়, তা হলো ওডিশা, পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ বা মায়ানমার উপকূলের দিকেই এগোতে পারে সম্ভাব্য শক্তিশালী নিম্নচাপটি।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, নিম্নচাপের ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পিছনে বেশ কয়েকটি ধাপ থাকে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আগে নিম্নচাপকে পর পর ক্রমশ সুস্পষ্ট নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ এবং অতি গভীর নিম্নচাপের ধাপ পার করতে হয়। ২৩ মে আন্দামানের কাছে যে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
তবে মে ও জুন মাস যেহেতু বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার জন্য আদর্শ, তাই প্রতি মুহূর্তেই আন্দামানের দিকে নজর রেখে চলেছেন আলিপুর হাওয়া অফিসের বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যেই আলিপুর আবহাওয়া দফতর আন্দামানে মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা জারি করেছে।

Advt

Previous articleব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next article“দামে কম মানে ভালো…”, করোনার থেকেও দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে কাকলি “ভাইরাস”