বাংলার কৃষকদের টাকা দেওয়া বন্ধ হোক, মোদিকে চিঠি দিলেন দিলীপ ঘোষ

বিশ্বমানের ‘সামারসল্ট’ দিলীপ ঘোষের৷ বাংলায় প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মাননিধি (Kisan Samman Niddi) প্রকল্পে কৃষকদের আর্থিক সাহায্য দেওয়া বন্ধ করা হোক৷ প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) চিঠি লিখে জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)৷

ভোটপ্রচারে রাজ্য সরকার কেন ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মাননিধি’ প্রকল্প চালু করেনি তা নিয়ে লাখখানেক প্রশ্ন তুলেছিলেন দিলীপ ঘোষ-সহ বিজেপির প্রথমসারির নেতানেত্রীরা। ক্ষমতায় এলেই বাংলায় এই প্রকল্প চালু করা হবে, এমন আশ্বাসও দিয়েছিলেন৷ ক্ষমতায় আসেনি বিজেপি, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাপে বাংলায় ওই প্রকল্প চালু হয়েছে৷

আর তারপরেই রাজ্যে এই প্রকল্প বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন দিলীপ ঘোষ৷ একেবারে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে ডিগবাজি খেয়ে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মাননিধি প্রকল্পে কৃষকদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যে দুর্নীতি হতে পারে মনগড়া অভিযোগ তুলেছে রাজ্য বিজেপি। আর এই কারণ দেখিয়ে মোদিকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি৷ চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলার কৃষকদের পরবর্তী কিস্তির টাকা দেওয়া বন্ধ রাখা হোক৷
কৃষকদের সঠিক তালিকা তৈরির জন্য রাজ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের দল পাঠানোর দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে না পেরে বাংলার
কৃষকদের প্রতি প্রতিহিংসামূলক নীতি নিয়েছে বিজেপি৷ কৃষকরা বিজেপিকে ভোট দেয়নি। তাই তাঁদের এই প্রকল্প দেওয়ার মানে হয় না। তাই এই চিঠি বলেই তাঁরা মনে করছেন৷

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীকে
চিঠি পাঠিয়ে দিলীপ ঘোষ এই প্রকল্পে দুর্নীতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন৷ বলা হয়েছে, রাজ্যের পাঠানো কৃষকদের তালিকা যেন ভাল করে পরীক্ষা করা হয় কেন্দ্রের তরফে৷ একইসঙ্গে পরের দফার টাকা পাঠানো বন্ধ রাখতেও বলেছেন।মোদিকে পাঠানো চিঠিতে দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, রাজ্যে এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে ২৩ লক্ষ কৃষক নির্দিষ্ট পোর্টালে আবেদন করলেও প্রথম দফার টাকা পেয়েছেন মাত্র ৭ লাখ কৃষক। বাকি কৃষকদের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়নি বলে তাঁর দাবি৷ যদিও তার কোনও প্রমাণ তিনি পেশ করেননি। দিলীপ ঘোষ লিখেছেন, এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক হলেও তা বাংলার ক্ষেত্রে সঠিক পদক্ষেপ হবে না। কারণ এই রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের সহযোগিতায় অনেক অনুপ্রবেশকারীও আধার কার্ড পেয়েছে। তাই টাকা পাঠানো বন্ধ করে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের পাঠানো তালিকা পরীক্ষা করুক।

প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরাসরি উদ্যোগে চলতি মাস থেকেই রাজ্যে এই প্রকল্প চালু হয়েছে। প্রথম দফার টাকাও পেয়েছেন নথিভূক্ত বাংলার কৃষকরা।

Advt

Previous articleটিকা পেতে ভোগান্তি বাড়ছে, চিনা ভাষার চুক্তিতে না বুঝেই সই করেছে বাংলাদেশ!
Next articleক্লান্তিহীন কান্তি, হারের হ্যাট্রিকের পরেও করোনা হাসপাতাল খুললেন এই “রেড ভলেন্টিয়ার”