ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে পদত্যাগ শোভনদেবের, মুখ্যমন্ত্রী ফিরছেন তাঁর পুরনো কেন্দ্রেই!

ভবানীপুরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার, দুপুর সোয়া দুটো নাগাদ বিধানসভায় গিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে শোভনদেব তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেন। স্পিকারও সেই কারণে এদিন বিধানসভায় এসেছিলেন। বিধানসভায় ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সিও

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, কেন পদত্যাগ করছেন শোভনদেব, যিনি এই মুহূর্তে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী? তৃণমূল সূত্রে খবর তাঁর পরিচিত বিধানসভা কেন্দ্রেই ফের প্রার্থী হতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়ে তিনি পরাজিত হয়েছেন। যদিও সেই ভোট গণনা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ২০১১ ও ২০১৬ সালে ভবনীপুর কেন্দ্র থেকেই জয়ী হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই প্রশ্ন ছিল মুখ্যমন্ত্রী উপনির্বাচনে কোন কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হচ্ছেন? ভবানীপুরের সঙ্গে বালিগঞ্জ ও রাসবিহারী কেন্দ্রের কথাও সামনে এসেছিল। আগেই প্রায় সিদ্ধান্ত হয়ে যায় অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র খড়দা কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন। শোভনদেব পদত্যাগ করলে মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্র নিয়েও আর সংশয় থাকবে না। উপনির্বাচন আরও দুটি কেন্দ্র জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জেও উপনির্বাচন হওয়ার কথা।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কোভিড পরিস্থিতির মাঝে ভোট কবে হবে সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মহামারীর মাঝে নির্বাচন কমিশন ঠিক কবে ভোট করবে সে নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।  আর একটি প্রশ্ন হল, তাহলে বর্ষীয়ান শোভনদেবের রাজনৈতিক ভবিষ্যত কী হবে? এই মুহূর্তে রাজ্যে দুটি রাজ্যসভার আসন শূন্য রয়েছে। মানস ভুঁইয়া পদত্যাগ করে বিধায়ক, মন্ত্রী। অন্যদিকে দীনেশ ত্রিবেদী পদত্যাগ করে আপাতত বিজেপিতে। ফলে একটি আসনে শোভনদেবের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তৃতীয় প্রশ্ন, দ্বিতীয় আসনে প্রার্থী কে? সে নিয়ে জল্পনা অব্যাহত।

Previous articleধেয়ে আসছে যশ, কোথায় কোথায় তাণ্ডব চালাবে এই ঘূর্ণিঝড়
Next articleপুলিশের রিপোর্ট তলব কোর্টের, তদন্তের মুখে মিঠুন