ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে কলকাতায় মৃত্যু এক মহিলার

করোনার দোসর ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। দেশে করোনা অতিমারির মধ্যে বাড়ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তের সংখ্যাও। শুক্রবার ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে কলকাতায় মারা গেলেন হরিদেবপুরের বাসিন্দা শম্পা চক্রবর্তী। তিনি প্রথমে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপরই তিনি আক্রান্ত হন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে।

ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর দুটি কারণ লেখা করোনাভাইরাস এবং ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। কোনও মানুষের শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে এই সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। শম্পা চক্রবর্তীর ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়েছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা। রাজ্যে যে ৪ জনের শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ধরা পড়েছিল তাঁদের মধ্যে শম্পা ছিলেন প্রথম। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস দ্বারা সবথেকে বেশি সংক্রমণের ঘটনা সামনে এসছে মহারাষ্ট্রে। সেখানে আক্রান্ত প্রায় ১৫০০ মানুষ। ইতিমধ্যেই এই রোগের জন্য তৈরি করা হয়েছে আলাদা ওয়ার্ড। রাজস্থানে করা হয়েছে এই ব্যবস্থা। রাজস্থান, মুম্বই, তেলেঙ্গানা এবং পশ্চিমবঙ্গে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ছড়িয়ে পড়েছে।

 

আরও পড়ুন-ফের বাতিল করা হল পূর্ব রেলের দশটি স্পেশাল ট্রেন

রাজস্থান ও তেলেঙ্গানায় ইতিমধ্যেই মিউকরমাইকোসিসকে মহামারি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত এমন কিছু জানা যায়নি। রাজ্য স্বাস্থ্যদফতর সূত্রে পাওয়া খবর, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ অ্যাম্ফোটেরাইসিন। জানা গিয়েছে, রাজ্যের কাছে তা পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত রয়েছে। কিন্তু সঠিক সময় ওষুধ প্রয়োগ না করলেই বিপদ। শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল সূত্রে খবর, হরিদেবপুরের শম্পা চক্রবর্তীই ছিলেন রাজ্যের প্রথম ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁর অনিয়ন্ত্রিত ব্লাডসুগার ও মিউকরমাইকোসিস নিয়ে শম্ভুনাথে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শম্পাকে প্রতি মিনিটে প্রায় ১২ লিটার অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছিল। হঠাৎ একদিন শম্পার নাকের উপরে কালো ছোপ দেখা যায়। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করতেই ধরা পরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। ততক্ষণে শম্পার সাইনাস, মস্তিষ্ক, ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ। চিকিৎসা শুরু হলেও শেষরক্ষা হয়নি। শুক্রবার ভোরে মারা যান ৩২ বছর বয়সী শম্পা চক্রবর্তী।

Advt

Previous articleব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next articleপ্যারোলে ছাড়া পেল ধর্ষণে অভিযুক্ত ডেরা প্রধান গুরমিত রাম রহিম