করোনা সংক্রমণের জেরে স্তিমিত হচ্ছে কৃষক আন্দোলন, কেন্দ্রকে ফের বৈঠকে বসার আরজি মোর্চার

করোনা সংক্রমণের (Corona pandemic) জেরে ক্রমশ স্তিমিত হচ্ছে কৃষক (farmer protest) আন্দোলন? এই করোনাকালে বেশ কয়েকজন কৃষক ইতিমধ্যেই করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। মাস খানেক আগেও লাগাতার আন্দোলনের দাবি থেকে পিছু হটতে নারাজ ছিল কৃষক সংগঠন। কিন্তু দিনের পর দিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ায় এবং কেন্দ্রের তরফে আর কোনও সাড়া না মেলায় সংযুক্ত কিষান মোর্চা আন্দোলনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। অন্তত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত এমনটাই। কারণ সংযুক্ত কিষান মোর্চা তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, “আন্দোলনকারী কৃষকরা করোনা সংক্রমণের মুখে পড়তে চান না। কিন্তু একইসঙ্গে তারা এতদিনের লড়াই ছেড়েও যেতে চান না। কারণ, এটি জীবন-মরণের ও ভবিষ্যত প্রজন্মের লড়াই।” আর তাই আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে কেন্দ্রের কাছে ফের বৈঠকে বসার আবেদন জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, কয়েকজন আন্দোলনকারী কৃষকের মৃত্যুর খবর মিলতেই আপাতত আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের (BKU) মুখপাত্র ভোপাল সিং। ভোপাল সিংয়ের জানিয়েছেন, :আমরা যদি বেঁচে থাকি তা হলেই না লোকে আমাদের ‘অন্নদাতা’ বলে ডাকতে পারবেন। আমরা বেঁচে থাকলে তবেই আমাদের ফসলকে সুরক্ষিত করতে পারব। আমরা ভবিষ্যতে আবারও আন্দোলন করব। তবে এই আন্দোলনের জন্য এখন সঠিক সময় নয়। এই কঠিন পরিস্থিতিতে আমাদের দেশের পাশে দাঁড়ানো উচিৎ।” জানা গিয়েছে কিষান মোর্চার তরফে সুর নরম করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে কেন্দ্র ও কৃষকদের মধ্যে আলোচনা শুরু করার প্রস্তাব দেওয়া হল।

কেন্দ্রের ৩ কৃষি আইনের বিরুদ্ধে গত বছরের নভেম্বর মাস থেকেই লাগাতার আন্দোলন চলছে দিল্লির সীমান্তে। কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পঞ্জাব, হরিয়ানা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকরা। এর মাঝে কেন্দ্রের সঙ্গে ১১ দফা বৈঠক হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। কৃষকরা শুরু থেকেই আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই অটল ছিলেন । কেন্দ্রের তরফে এক থেকে দেড় বছরের জন্য আইন স্থগিত রাখার প্রস্তাব দেওয়া হলে, প্রথমে তাতে সম্মতি জানিয়েও পরে তা মানতে অস্বীকার করে কৃষক সংগঠনগুলি।

Previous articleকরোনা থেকে যশ, বাড়ি বসেই মোকাবিলার সূত্র খুঁজছেন “গৃহবন্দি” ফিরহাদ
Next articleপশ্চিমবঙ্গের উপকূলেই আছড়ে পড়তে চলেছে ‘ যশ’, পূর্বাভাস মৌসম ভবনের