করোনা থেকে যশ, বাড়ি বসেই মোকাবিলার সূত্র খুঁজছেন “গৃহবন্দি” ফিরহাদ

নারদা মামলায় (Narada Scam Case) ছিলেন সাময়িক জেলবন্দি (Jail Custody)। অনেক আইনি টানা পোড়েনের পর জেল থেকে ফিরেছেন বাড়ি। শরীরটাও ভাল নেই। আদালতের (Court) নির্দেশে আপাতত থাকতে হবে “গৃহবন্দী” হয়ে। চলবে সিসিটিভি (CCTV) নজরদারি। সরকারি কাজ ছাড়া আর কারও সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ রাখতে পারবেন না। করা হবে কল রেকর্ড। তাঁর বাড়ির সামনে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পরিবারের সদস্য ছাড়া বাকিদের প্রবেশ নিষেধ।

কিন্তু তাঁকে দমিয়ে রাখে কার এতো “হিম্মত”! তিনি তো মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানুষের জন্য কাজ করবেনই। তা সে যতই ঘরে বসে হোক। তিনি মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। কলকাতা পুরসভার (KMC) প্রশাসক মন্ডলীর (Administratieve Board) চেয়ারম্যান (Chairman)। সকলের প্রিয় ববিদা (Boby Hakim)।

তাই প্রেসিডেন্সি জেল থেকে বাড়ি ফিরে বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে গৃহবন্দি দশার শুরুতেই কলকাতাবাসীদের ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) “যশ” (YAAS) ও করোনার (Corona) দুর্ভোগ থেকে বাঁচাতে একের পর এক বৈঠক করছেন ফিরহাদ হাকিম। আরও বেশি সংখ্যায় টিকাকরণ, স্যানিটাইজেশন ও কোভিডের মৃতদেহ সঠিক এবং সাবলীলভাবে দাহ করা নিয়ে পুরসভার আধিকারিকদের একগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে প্রশাসনিকস্তরের বৈঠকে যোগাযোগ থাকছে রাসবিহারীর বিধায়ক তথা প্রশাসক বোর্ডের অন্যতম দেবাশিস কুমার, কাশীপুর-বেলগাছিয়ার বিধায়ক তথা প্রশাসক বোর্ডের আরেক অতীন ঘোষ এবং পুর আধিকারিকদের।

আরও পড়ুন:প‍্যাট্রিক প‍্যাটারসনকে সাহায্য করার আবেদন জানালেন অশ্বিন

প্রতিটি বৈঠকে আগের নেওয়া কর্মসূচির রিভিউ নিচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম। টিকা প্রদানের হার থেকে শুরু করে মৃত্যুর সংখ্যা, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে এই মুহূর্তে কী পরিস্থিতি? সবই আলোচনা হচ্ছে বৈঠকে। কিছু শ্মশানে চুল্লি খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সেই চুল্লির কী অবস্থা তাও জানতে চান তিনি। মৃতদেহ প্লাস্টিকের পরিবর্তে সুতির ব্যাগে যাচ্ছে কিনা সেটাও ফিরহাদ হাকিম খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন পুর আধিকারিকদের।

অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টির আগাম প্রস্তুতিও সেরে রাখার নির্দেশ ভার্চুয়াল বৈঠকে দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। কলকাতার প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের কাছে ত্রিপল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। যাতে কোনও জল না জমে শহরে তার জন্য দ্রুত নিকাশি ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ঝড়ে গাছ পড়ে গেলে তা কাটার জন্য প্রতি জায়গায় কাটার, ল্যাডার রেডি থাকে, তার নির্দেশ দেন।

এদিকে, “টক টু কেএমসি” অনুষ্ঠানটি বাড়ি থেকেই যাতে ভার্চুয়ালি ব্যবস্থা করা যায়, তা নিয়ে পুর আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে বলেছেন ফিরহাদ হাকিম।

Advt

Previous articleCyclone YAAS : কোন কোন জায়গায় কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন?
Next articleকরোনা সংক্রমণের জেরে স্তিমিত হচ্ছে কৃষক আন্দোলন, কেন্দ্রকে ফের বৈঠকে বসার আরজি মোর্চার