যশ মোকাবিলায় প্রস্তুত নবান্ন, কন্ট্রোলরুমে বসবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী

আমফান থেকে শিক্ষা নিয়ে যশ-এর মোকাবিলায় কোনওরকমের ফাঁক রাখতে চাইছে না রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই যশ-এর কড়া নজরদারি রাখতে খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। ২৫ এবং ২৬ মে সেখানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে করোনা আবহকে মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই সবরকম ত্রাণ শিবির তৈরি করেছে। এমনকি পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী গ্রামগুলিতে ঘুরে ঘুরে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সতর্কতামূলক প্রচার চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা টিম। রাজ্যে ২ কোম্পানি এনডিআরএফ মোতায়েন করা হয়েছে জেলায়। আনা হবে আরও ২ কোম্পানি এনডিআরএফ।

শনিবার প্রশাসনের প্রস্তুতির কাজ খতিয়ে দেখতে এলাকা পরিদর্শনে যান পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি। দিঘা-ওড়িশা সীমানা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত ঘুরে দেখেন তিনি। সেখান তিনি বলেন, “যে সব এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হতে পারে সেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের কোথায় সরানো হবে, কোথায় তাঁদের রাখা হবে সে সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় হাসপাতালগুলিও আময়া ঘুরে দেখছি। বিপর্যয়ের পরে যদি বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়, সে সময় বিকল্প কী ব্যবস্থা রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

অন্যদিকে নবান্নের তরফে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর, কাকদ্বীপ, গোসাবা, ডায়মন্ড হারবার, মথুরাপুরে প্রস্তুত রাখা হয়েছে কুইক রেসপন্স টিম ও বিপর্যয় মোকাবিলা দলকেও। উপকূলবর্তী এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনকে ২ লক্ষ জলের পাউচ প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৫০ হাজার বিদ্যুতের খুটি মজুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও ২০ টি স্যাটেলাইট ফোন ও ২৫টি ড্রোনের মাধ্যমে চলবে কড়া নজরদারি। ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে ত্রিপল, সাবান, চাল, ডাল ও বেবিফুড। উপকূলবর্তী এলাকার ৩ লক্ষ মানুষের জন্য ১১৫টি আয়লা সেন্টার এবং ২৫০টি আইসিডিএস স্কুলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানকার হাসপাতালগুলিকে বাড়তি বেড ও ওষুধের ব্যবস্থা করে রাখতে বলা হয়েছে।

Advt

 

Previous articleযশ’ আতঙ্কে চেন দিয়ে ট্রেন বেঁধে রাখার সিদ্ধান্ত নিল রেল
Next articleশোভনকে ছাড়ছে না, তাই রাজ্যের বিরুদ্ধে বিষোদগার বৈশাখীর