তৃণমূলে ফিরতে চাই: সোনালীর পরে সরলা

সোনালী গুহর পরে এবার সরলার মুর্মু- তৃণমূলের দিকে চেয়ে আবেদন। সোনালীর মতো তারও আবেদন, “ফিরিয়ে নিন। ভুল সকলেরই হয়। ফিরতে চাই”। এবছর বিধানসভা নির্বাচনে মালদহের (Maldah) তৃণমূলের টিকিট পাওয়ার পরেও বিজেপিতে যোগ দেন সরলা মুর্মু (Sarala Murmu)। নির্বাচনে বিজেপির (Bjp) ভরাডুবি এবং এরপর দলত্যাগী অনেক নেতানেত্রীর মতো বিলম্বিত বোধোদয় হয়েছে তারও। দলে ফিরতে চেয়ে তৃণমূলের (Tmc) জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও, সোনালীর মতো তাঁর বিষয়টা যে খুব একটা মসৃণ হবে না তা জেলা নেতৃত্বের মন্তব্যেই স্পষ্ট। তাঁকে ‘‌বেইমান’‌ তকমা দিয়েছেন তাঁরা।

হবিবপুর কেন্দ্রে সরলাকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। কিন্তু টিকিট পাওয়ার পরেও সরলার দাবি ছিল তাঁকে মালদা বিধানসভা কেন্দ্রে টিকিট দিতে হবে। সেটা সম্ভব না হওয়ার পরে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান সরলা মুর্মু। এখন তিনি বলছেন, ভুল বুঝিয়ে তাঁকে বিজেপিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরে তৃণমূলে ফিরতে চান। এই মন্তব্য নিয়ে জেলা তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর (Krishnendunarayan Choudhuri) বলেন, এগুলো ছেদো যুক্তি। সরলা মোটেই ভুল করে বিজেপিতে যায়নি। মালদহের আসনটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। সরলা তফসিলি উপজাতিভুক্ত। ফলে সরলাকে ওখানে প্রার্থী করা সম্ভব ছিল না। কৃষ্ণেন্দুর মতে, এরকম ঘটনা আমার অন্তত জানা নেই যে দল টিকিট দেওয়ার পরেও কেউ দলত্যাগ করে। “সরলাকে অনেক বড় সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওর গাদ্দারির জন্যেই হবিবপুর আসনটি আমাদের হাতছাড়া হয়েছে”।

এহেন সরলাকে কি আদৌ ফিরিয়ে নেবে তৃণমূল? এর উত্তরে মালদা জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের মত, সেটা রাজ্য নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত। তবে সরলার বিরুদ্ধে মালদা আগে যে পরিমাণ ক্ষোভ জমা হয়েছে তাতে তার পুরনো জলের ফেরাটা মসৃণ হবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।