‘দুয়ারে পানীয় জল’, ইয়াস-ধস্ত এলাকায় এবার অভিনব উদ্যোগ রাজ্যের

এবার ‘দুয়ারে পানীয় জল’৷ যে কোনও ঘূর্ণিঝড়ের পর দুর্গত এলাকায় পানীয় জলের চরম সঙ্কট দেখা দেয়। অতীতের বেশ কয়েকটি ঝড়ের পর এমন ঘটনা দেখা গিয়েছে৷ এই সমস্যা দূর করতে রাজ্য প্রশাসনের উদ্যোগে এবার আসরে ‘দুয়ারে পানীয় জল’৷

ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ প্রভাব ফেলতে পারে এমন গ্রামীণ এলাকায় পরিশ্রুত পানীয় জল মানুষের মধ্যে বিলি করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে MTU বা ‘মোবাইল ট্রিটমেন্ট ইউনিট’ নিয়ে হাজির হবে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। বিভাগীয় মন্ত্রী পুলক রায় জানিয়েছেন, “বিগত বেশ কয়েকটি ঝড়ের অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের পর দুর্যোগ কবলিত এলাকায় পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দেয়। এ বছর মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, সেই দুর্ভোগ এড়াতে আগাম ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী, দুর্গত এলাকায় ‘দুয়ারে পানীয় জল’ পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।”

অভিনব এই উদ্যোগ ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী বলেন, এলাকার পুকুর, নালা, খাল বা যে কোনও উৎস থেকে জল তুলে মুহূর্তে তা পরিস্রুত করে পাউচবন্দি অবস্থায় পৌঁছে দেওয়া হবে বাসিন্দাদের কাছে। প্রতিটি পাউচ হবে ২৫০ মিলিলিটারের। দক্ষিণবঙ্গে মোট ২২টি MTU-র মাধ্যমে ফৌজি তৎপরতায় পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ করা হবে। চারটি ইউনিট ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী কাকদ্বীপ, সাগর এবং বারুইপুরে। উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ ও মিনাখাঁয় রয়েছে তিনটি ইউনিট। পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় থাকছে আরও একটি ইউনিট। বাকি ইউনিটগুলি হাওড়া, হুগলি-সহ অন্যান্য জেলায় পাঠানো হয়েছে। উত্তরবঙ্গের জন্য তৈরি আছে ছ’টি MTU। ঘণ্টায় ২ হাজার পাউচ পানীয় জল তৈরি করবে প্রতিটি ইউনিট। চাহিদা অনুযায়ী তা আরও বাড়ানো যাবে।মন্ত্রী জানিয়েছেন, গোটা রাজ্যে প্রায় ৩৫০০টি ওভারহেড ট্যাঙ্ক রয়েছে। যতক্ষণ বিদ্যুৎ থাকবে, ততক্ষণ পাম্প চালিয়ে ট্যাঙ্কগুলি সব সময় সম্পূর্ণ ভর্তি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকলেও, ওভারহেড ট্যাঙ্ক থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহ করা যাবে। ওভারহেড ট্যাঙ্কগুলি আড়াই লাখ লিটার থেকে সাড়ে সাত লিটার জল ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন।

Advt

 

Previous articleরাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপনের মেয়াদ বাড়ল
Next articleখাচ্ছেন-দাচ্ছেন, টিভি দেখছেন, গল্প করছেন, বহাল তবিয়তে শোভন