Thursday, August 28, 2025

ভেজা মাটি শুকিয়ে কবে চন্দ্রমল্লিকা ফুটে গন্ধ বের হবে, তার পরিচর্যায় শোভন-বৈশাখী

Date:

শোভন চট্টোপাধ্যায় আর বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। দুজনকে নিয়ে চর্চার শেষ নেই। একজন ছিলেন রাজনীতিবিদ, এখন অবসরপ্রাপ্ত রাজনীতিবিদ। অন্যজন ছিলেন অধ্যাপিকা। সে কাজ ছেড়ে রাজনীতিতে গভীরভাবে হাত ডুবিয়ে হাত মুছে ফেলে তিনিও প্রাক্তনী। এখন শুধু দুজন, বন্ধু আর বান্ধবী গোল পার্কের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে একে অন্যকে পর্যবেক্ষণ করে চলেছেন মধ্য বয়সের অপরিসীম আদিখ্যেতা নিয়ে।

নারদায় গ্রেফতার হওয়ার পর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অবস্থান সকলে দেখেছেন। কোর্টে তৃণমূলের আইনজীবীর সাহায্য থেকে শুরু করে জেলে না গিয়ে হাসপাতালে থাকার সব ধরণের সুবিধা নিয়েছেন সরকারের থেকে। কেন পেলেন? সবাই বুঝতে পারেন। সব কথা বলতে হয় নাকি! হাসপাতাল থেকে বন্ধুর সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না। তাঁর গোলপার্কের বিলাসী ফ্ল্যাটে পরিচর্যার সুযোগ না পেয়ে শিক্ষিতা-সুন্দরী বৈশাখী রাজ্য সরকারকেই তোপ দাগেন। শোভন জানলা দিয়ে মুখ বাড়িয়ে বেআইনিভাবে প্রেস কনফারেন্স করেন। একান্ত পারিবারিক নাটক একেবারে হাটখোলা জনতার মাঝে। তাতে কী যায় আসে! প্রাক্তন মহানাগরিক, তাতে কী বা এলো গেল! প্রাক্তন মন্ত্রী, কিন্তু এখন তো নই! সব কিছুর মাথা খেয়ে শোভন-বৈশাখী সেই কবিতাটার বাস্তব উপাখ্যান লিখলেন… আসুক না ঝড় ঝাপটা/ বলুক না লোকে কুকথা/ বন্ধ করো দরজা/ শুরু হোক বসন্ত বিলাস…

কিন্তু প্রশ্ন হলো কী করবেন শোভন? ভুল বললাম, শোভন-বৈশাখী? প্রাচুর্য আছে, ফলে ‘হতভাগা সাংবাদিক’দের মতো রোদে-জলে-ইয়াসে-বাজারে পুড়ে কাজ করার প্রয়োজন নেই। আমজনতার মতো ১০-৫টা অফিসের প্রয়োজন নেই। কার্যত লকডাউনে রুটি-রুজির জন্য ভাবনা নেই। আছে শুধু ভাল লাগার সুখ।

কিন্তু রাজনীতির মধু যে বড় মিষ্টি। তাকে ছাড়া বেশ মুশকিল কারওর কারওর কাছে। আর তা যদি উপাদেয় হয়? ফলে এখন অপেক্ষার প্রহর গোনার রাজনীতি। ভিজে মাটি। একটু শুকিয়ে যাক। ছোট ছোট ঘাস গজাক। দুটো একটা চন্দ্রমল্লিকা ফুটুক। একটু গন্ধ বেরোক। গাঁদা গাছটা নয় নিজেই গিয়ে লাগিয়ে আসবেন দুজনে। পুরনো সম্পর্কের সুতোতে একটু মাঞ্জা দেবেন। তারজন্য নানা উপাচার তৈরি হবে। মাঝে মধ্যে প্রয়োজনে কালীঘাটে দুজনে পুজো দেবেন। শোভন পড়বেন ফ্যাব ইন্ডিয়ার পাঞ্জাবী আর বৈশাখী সম্বলপুরী সিল্ক, রঙ ম্যাচ করে। যদি মন্দির থেকে একটু এক পা দু’পা এদিক ওদিক যেতে হয়, তারজন্য ছুতো খুঁজে নেবেন। পুজো এলে বিশেষত কালীপুজো এলে রাত জাগার প্রস্তুতি নেবেন। আর ভাই ফোঁটা আসার আগের দিন থেকে সিল্কের পাজামা-পাঞ্জবী পরে প্রয়োজনে রাত জাগবেন। চেয়ারে ঠায় বসে থাকবেন। ঘনঘন ফোনের দিকে তাকাবেন। কলিং বেল যদি বাজে ছুট্টে চলে যাবেন সদর দরজায়। একটা চিরকূট নিয়ে কেউ কী এলো!!!

তারপর আমি এতো যে তোমায় ভালবাসি… মানবেন্দ্রর গলায় গানটা বাজিয়ে দেবেন, বাজাবেন শুধু বারবার বাজাবেন। বিরক্ত হলেও শুনিয়ে যাবেন। দরকারে দুজনে একসঙ্গে ডুয়েট গাইবেন।

ভিজবে ভিজবে চিড়ে ভিজবে। ঠাকুর অন্ন গ্রহণ করবেন, না করে উপায় আছে! তখন পাড়ার মাইকে ওই ব্রহ্মসঙ্গীতটা বাজবেই… তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা..

Pp

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...
Exit mobile version