Thursday, November 6, 2025

‘পূর্ণ শক্তি দিয়ে লড়ছে ভারত’, ছুটির দিনে ‘মন কি বাত’-এ একাধিক বার্তা মোদির

Date:

রবিবার রেডিও অনুষ্ঠানে ‘মন কি বাত’-এর ৭৭ তম পর্বে ভাষণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টিম ইন্ডিয়া-র জয়গান করেন। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও তাউটের বিপর্যয়ে দুঃখপ্রকাশ করে ও কোভিডের বিরুদ্ধে দেশের আমজনতার অবদানকে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে কুর্নিশ জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে কোভিড যোদ্ধাদের সঙ্গেও সরাসরি কথাও বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অক্সিজেন ঘাটতি ও তা কীভাবে পূরণ করা হয়েছে, সে বিষয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বিগত ১০০ বছরে বিশ্বের সবথেকে ভয়ঙ্কর মহামারী হল করোনা। কিন্তু আমাদের দেশের স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রথমসারির কোভিড যোদ্ধারা এই লড়াইয়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। সাধারণ সময়ে দেশে প্রতিদিন ৯০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন উৎপাদন করা হত। বর্তমানে তা ১০ গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে, দেশে প্রতিদিন ৯৫০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন উৎপাদন করা হচ্ছে।” এদিনের ভাষনে তিনি আরও বলেন, “সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই অক্সিজেন পরিবহনও একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, কিন্তু ক্রায়োজেনিক অক্সিজেন ট্যাঙ্কারের চালকরা সমস্ত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়েই অক্সিজেন পৌঁছে দিয়ে লক্ষাধিক মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন।”
মোদি জানান, শুধুমাত্র আজ থেকে নয়, বিগত ৭ বছর ধরে দেশবাসী একজোট হয়ে লড়াই করছে। এই কারণেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে শুরু করে কোভিডের মতো মহামারীকে সফলভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে। জাতির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘করোনা ও ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় দেশবাসীর লড়াইকে সেলাম জানাই। যত বড়ই চ্যালেঞ্জ আসুক না কেন, আমরা জোরদারভাবে তাঁর মোকাবিলা করেছি। সকলের মিলিত শক্তি ও সাহস দেশকে দুর্যোগ থেকে বের করে এনেছে।’
প্রথমে তাউটে ,পরে ইয়াস। অতিমারীর মধ্যে রাজ্যে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড়। ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে উপকূলীয় জেলাগুলিতে। এই দুই বিপর্যয়ে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁর পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জানান মোদি। তিনি বলেন, এই বিপর্যয় মোকাবিলায় যারা এগিয়ে এসেছেন ও যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে যারা কাজ করেছেন, তাদের কাজ প্রশংসনীয়।
এ দিনের অনুষ্ঠানে বিজেপি শাসিত মোদি সরকারের সপ্তম বর্ষপূর্তির উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই সাত বছরে দেশ নানা সাফল্য অর্জন করেছে। বিগত এই বছরগুলিতে একটি মন্ত্র অনুসরণ করেই এগিয়ে চলেছে দেশ, তা হল ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’। আমরা সকলে মিলে সেই সাফল্য উদযাপন করেছি। আমরা অত্যন্ত গর্বিত যে আমাদের দেশ নিজস্ব নীতিতে পরিচালিত হয়, জাতীয় সুরক্ষার সঙ্গে কখনও সমঝোতা করে না। যখন অন্যান্য দেশের নানা চক্রান্তের কড়া জবাব দেয় ভারত, তখন সমস্ত দেশবাসীরই আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যায়।”

Pp

Related articles

রাত পোহালে প্রথম দফার নির্বাচন বিহারে: হিংসা ঠেকানোই চ্যালেঞ্জ

নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে পরপর খুন। রাজনৈতিক নেতা থেকে সমর্থক। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে তাই শান্তি বজায় রাখাই চ্যালেঞ্জ...

বাংলা কথায় দক্ষতা, কোন পদে পান তৃপ্তি? দীপ্তিকে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি খুললেন ‘অভিভাবক’ মিঠু

সন্দীপ সুর বাংলার প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ জিতেছেন রিচা ঘোষ কিন্তু ভারতীয় দলের আরও এক ক্রিকেটারের সঙ্গে...

দিঘার জগন্নাথ ধামে প্রথম রাস উৎসবে ভক্তদের ঢল 

দিঘার জগন্নাথ ধামে এবারই প্রথম পালিত হল রাস উৎসব, আর সেই উপলক্ষে সকাল থেকেই উপচে পড়েছে ভক্তসমুদ্র। উৎসবের...

বেঁচে আছেন, তাই জানতে পারলেন ‘দোষী নন’: আজব বিচার উত্তরপ্রদেশে

বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের (Aligarh) মিঠু সিংয়ের জীবনে যেন সেটাই সত্যি হতে বসেছিল। অবশেষে ৫৫...
Exit mobile version