Breaking : লুঠের নয়া কৌশল, এটিএম না ভেঙে লক্ষ লক্ষ টাকা উধাও কলকাতায়

রহস্যজনকভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা উধাও এটিএম থেকে। গত দশ-বারো দিন ধরে খোদ কলকাতায় বেশ কয়েকটি এটিএম থেকে এভাবে টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে । যার জেরে ঘুম ছুটেছে লালবাজারের কর্তাদের । কারণ, এটিএম না ভেঙেই টাকা লোপাট করে দিচ্ছে জালিয়াতরা। স্থানীয় থানার পাশাপাশি লালবাজারের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখার গোয়েন্দারা একযোগে তদন্ত শুরু করেছেন। তবে দুষ্কৃতীদের কাউকেই এখনও গ্রেফতার করা যায়নি।

গত ১৯ মে কাশীপুর রোডে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের একটি এটিএম থেকে ৭ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ওই দিন বেলা ১১টা ৪৩ মিনিট থেকে ১২টা ২৩ মিনিটের মধ্যে ওই টাকা তোলা হয়েছে। দ্বিতীয় অভিযোগটি এসেছে যাদবপুর থেকে। এখানেও একই কায়দায় উধাও হয়েছে প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা।
লালবাজারের সূত্রে জানা গিয়েছে , গত দশ-বারো দিনে এই কায়দায় অন্তত দু’ থেকে তিনটি টাকা লোপাটের ঘটনা ঘটেছে।

প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে গোয়েন্দাদের আনুমান, দুষ্কৃতীরা প্রযুক্তিগত কৌশল কাজে লাগিয়ে শহরে একের পর এক এটিএম লুট করছে। ওই দলে এমন কেউ রয়েছে, যে বা যারা এটিএম প্রযুক্তি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। কোনও সাধারণ দুষ্কৃতীর পক্ষে কোনও আঁচড় না কেটে এটিএম থেকে টাকা লুট করা সম্ভব নয়।

গোয়েন্দারা নিশ্চিত , একটি গ্যাং এই কাজ করছে। সাম্প্রতিক অতীতে কলকাতায় স্কিমার মেশিন লাগিয়ে এটিএম থেকে টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছিল। তবে এবারের ঘটনায় কোনও বিদেশি জড়িত নেই বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা । তদন্তে নেমে গোয়েন্দাদের হাতে সিসিটিভি’র একাধিক ফুটেজ এসেছে। সেগুলি খতিয়ে দেখেই এই সিদ্ধান্তে এসেছেন গোয়েন্দারা। তবে ওই ফুটেজের বিষয়ে কিছু বলতে চায়নি কলকাতা পুলিশ।

 

সাধারণত, বেসরকারি সংস্থার কর্মীরাই এটিএমে টাকা ভরে থাকেন। সব কটি ক্ষেত্রেই টাকা ভরার সময় নোট উধাওয়ের বিষয়টি নজরে আসে। ফলে এটিএম থেকে রহস্যজনকভাবে টাকা উধাওয়ের ঘটনায় ওই বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা বলেন, তদন্ত চলছে।

Previous articleদিল্লিতে নয়, কাল রাজ্যের কাজেই থাকছেন আলাপন
Next articleতন্ম‌য়ের মুখ ৩ মাসের জন্য বন্ধ, ‘শৃঙ্খলা’ রাখতে নিদান আলিমুদ্দিনের