রাজ্যের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করে মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Alapan Banerjee) এক্সটেনশনের দিন হঠাৎ করে দিল্লিতে বদলির ঘটনায় রাজ্য সরকারের পাশে প্রাক্তন আইএএসরা (Ias)। যখন কোভিড (Covid) এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় আলাপনের কাজের জন্যই রাজ্যের সুপারিশে তাঁর কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে, তখন নবান্নের (Nabanna) সঙ্গে কোনো আলোচনা না করে এভাবে তাঁর বদলিকে কোনওভাবেই সমর্থন করছেন না জহর সরকার, অনিতা অগ্নিহোত্রীরা।

আলাপনের বদলির নির্দেশ প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সোমবারই চিঠি পাঠিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই চিঠি প্রসঙ্গে প্রসার ভারতী প্রাক্তন সিইও জহর সরকার (Jahar Sarkar) বলেন, রাজ্য সরকারের সময় কথা না বলে এই ধরনের বদলির নির্দেশ কখনোই বিধিসম্মত নয়। কলাইকুন্ডা প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari) উপস্থিতির কথা চিঠিতে লেখেন মমতা। জহর সরকার বলেন, মিটিংয়ে শুভেন্দুকে ডেকে সংঘাতের আবহ তৈরি করেছিল মোদি সরকারই। এই পরিস্থিতিতে আলাপন যে কাজ করছিলেন সেই কাজ তাঁকে সরালে ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রীরা মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে ফেলতেন। কিন্তু মোদি সরকার সব বিষয়ই বাংলার সঙ্গে ‘যুদ্ধংদেহী’ আচরণ করছেন বলেও মন্তব্য করেন জহর সরকার।

প্রাক্তন আইএএস ও লেখিকা অনিতা অগ্নিহোত্রী (Anita Agnihotri) বলেন, এই ভাবে মুখ্যসচিবকে বদলি করাটা কোনো অবস্থাতেই সমর্থনযোগ্য নয়। মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো মেনেই চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের এই ধরনের আচরণ প্রতিহিংসামূলক বলেই বলে মনে করা হয় সংকটজনক পরিস্থিতির রাজ্যের পাশে দাঁড়িয়ে বাংলার বিরুদ্ধে মোদি সরকারের এই ধরনের মনোভাব কাজের পরিবেশ নষ্ট করে।

অন্যান্য প্রাক্তন আইএএস-দের মতে এভাবে কোনো মুখ্যসচিবকে বদলি করাটা বিধিসম্মত নয়। এতে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের উপর অকারণে চাপ পড়ে যেখানে মুখ্য সচিব হিসেবে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সেখানে কীভাবে অন্য পথে তাঁকে বদলির নির্দেশ পাঠানো হয়েছে সে ব্যাপারেও প্রশ্ন তোলেন অনেকে।
