প্রায় দু বছর ধরে নভেল করোনাভাইরাসের দাপটে কাঁপছে বিশ্ব। বহু গবেষক আগেও দাবি করেছিলেন করোনাভাইরাসের উৎসস্থল উহানের ল্যাবরেটরি। এই ভাইরাসের সৃষ্টি প্রাকৃতিক পরিবেশে নয়। এবারও ব্রিটিশ অধ্যাপক আঙ্গাস ডালগ্লেইস ও নরওয়ের বিজ্ঞানী বিরজার সোরেনসনের গবেষণায় উঠে এসেছে একই তথ্য। গবেষকদের দাবি, নভেল করোনাভাইরাসে এমন কিছু চারিত্রিক দিক দেখা গিয়েছে, যা শুধুমাত্র ল্যাবেরটরিতেই তৈরি করা সম্ভব।

এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এই দুই বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, ২০২০ সালে কোভিড টিকা তৈরির জন্য নভেল করোনাভাইরাসটির বিশ্লেষণ করেছিলেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, সেই সময় উহানের ওই ল্যাবরেটরিতে একটি প্রজেক্টের কাজ চলছিল। সেই প্রজেক্টিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আমেরিকা। ডালগ্লেইস এবং সোরেনসেনের দাবি, চিনা বিজ্ঞানীরা বাদুড়ের দেহ থেকে প্রাপ্ত সার্স কোভ-২ ভাইরাসটিতে আরও কিছু প্রোটিন স্পাইক যুক্ত করে দেন। তার ফলেই এতটা প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে নভেল করোনাভাইরাস।

আরও পড়ুন-জনসংখ্যার বৃদ্ধিতে লাগাম টেনে এবার চিনা দম্পতিদের ৩ সন্তানের অনুমতি সরকারের

ডালগ্লেইস এবং সোরেনসেনের দাবি, রেট্রো ইঞ্জিনিয়ারিং পদ্ধতিতে ভাইরাসটি তৈরি করা হয়েছে। শুধু তাই নয় ভাইরাসের চরিত্রও বদল করা হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, “উহানের যে ল্যাবরেটরিতে ভাইরাসটি তৈরি হয়েছিল, সেখানকার সমস্ত নথি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। চিনের যে সমস্ত বিজ্ঞানীরা মুখ খুলতে চেয়েছেন তাঁদের মুখ বন্ধ করা হয়েছে।”

এই দুই বিজ্ঞানীর দাবি, কিছুদিনের মধ্যেই সমস্ত তথ্য সামনে আসবে। কিছুই আর গোপন রাখা যাবে না। কীভাবে উহানের ল্যাব থেকে এই ভাইরাস গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে, তার প্রকৃত সত্য খুব শীঘ্রই আসবে বলে আশাবাদী তাঁরা। এর আগেও একাধিক গবেষকরা চিনের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন তাঁরা দাবি করেছিলেন ভাইরাসটি বাদুড় থেকে ছড়ায়নি। ছড়িয়েছে উহানের ল্যাবরেটরি থেকেই। আর এবারও ব্রিটেন এবং নরওয়ের বিজ্ঞানীরাও একই দাবি করছেন। এরইসঙ্গে উহানের গবেষণাগার থেকেই যে ভাইরাসটি ছড়িয়েছিল সেই প্রমাণ পত্রও তাঁদের কাছে রয়েছে বলে দাবি করছেন তাঁরা।
