আদিকাল থেকে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ধীরে ধীরে বিবর্তিত হয়ে বর্তমান অবস্থায় পৌঁছেছে। মানুষ কখনও প্রতিষেধকের মাধ্যমে, কখনও বা ওষুধের মাধ্যমে দমন করেছে রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুকে। পেনিসিলিন আবিষ্কারের আগেও আমাদের হাতে ছিল প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিকের ভাণ্ডার। ব্যাকটেরিয়া-সহ অণুজীবগুলি সেই অ্যান্টিবায়োটিককে জয় করে নতুন ভাবে উপস্থিত হয়েছিল। ফলে জীবশ্রেষ্ঠ ও অণুজীবদের লড়াই সেই আবহমান কালের।

বর্তমানে কোভিড রুখতে মানুষের হাতে অস্ত্র বলতে ভ্যাকসিন ও লকডাউন। সেই লকডাউনের মাধ্যমে মারণব্যাধিকে কতদূর প্রশমিত করা সম্ভব, সে সম্বন্ধে স্পষ্ট পরিসংখ্যান না মিললেও অন্যান্য ক্ষেত্রে তার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়েছে।

নিউমোনিয়া, মেনিনজাইটিস ও সেপসিসের ন্যায় ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ যে আটকা পড়েছে লকডাউনের জেরে, তা জানাচ্ছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা।

প্রত্যেক বছর সারা বিশ্বের কয়েক কোটি পূর্ণবয়স্ক ও শিশু মারা যায় নিউমোনিয়া, মেনিনজাইটিস ও সেপসিস রোগে। বিশ্বজুড়ে লকডাউনের জেরে আটকে গিয়েছে এই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণগুলি। এমনই মত অক্সফোর্ডের গবেষণার দায়িত্বে থাকা সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডেভিড মারডকের।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৬ সালে এহেন সংক্রমণের জেরে আক্রান্ত হন বিশ্বের ৩৩.৬ কোটি নাগরিক, মারা যান ২৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ!

অক্সফোর্ড সূত্রে খবর, লকডাউন আরোপের আট সপ্তাহের মধ্যে স্ট্রেপ্টোকক্কাস নিউমোনিয়ার প্রভাব প্রায় ৮২% কমলেও শ্বাসনালি সম্পর্কিত অন্যান্য রোগের প্রভাব কমেনি একদমই। যদিও সমীক্ষানুযায়ী, ২০২০-র জানুয়ারি-মে মাসের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে সংক্রামক শ্বাসযন্ত্র সম্পর্কিত রোগগুলি।

করোনার পাশাপাশি এইসকল শ্বাসযন্ত্র সম্পর্কিত অতিসংক্রামক রোগগুলিকে রোখার জন্য যে ভ্যাকসিনই একমাত্র ব্রহ্মাস্ত্র, তা স্পষ্ট করেছেন আইসিএমআরের চিকিৎসকরা।


















