কেন্দ্রের ছাড়পত্র মিলেছে MTA বা ‘মডেল টেনেন্সি অ্যাক্ট’- এর। দাবি করা হয়েছে, এই নতুন বিধিতে আরও সুরক্ষিত হয়েছে বাড়িওয়ালা- ভাড়াটিয়ার চুক্তি৷ একইসঙ্গে অগ্রিম ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ মেয়াদ বেঁধে দিয়েছে এই আইন৷ নতুন আইনের তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়টি হলো, এই আইনের অধীনে সমস্ত নতুন ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে বাড়িওয়ালাদের একটি লিখিত চুক্তি করতে হবে এবং তা সংশ্লিষ্ট জেলায় কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বুধবার মডেল টেনেন্সি অ্যাক্ট বা MTA অনুমোদন করেছে। এই আইনের আওতায় দেশের সর্বত্র ভাড়াটিয়া ও বাড়িওয়ালা, উভয়ের স্বার্থ রক্ষার জন্য বিশেষ কমিটি, আদালত তথা ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে। কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি বলেছেন, “ রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি এই আইনের ভিত্তিতে নতুন আইন তৈরি করে বা বর্তমান বিধি সংশোধন করে মডেল টেন্যান্সি আইনটি প্রয়োগ করতে পারে”।
সরকারের বক্তব্য, এই আইন দেশে ঘর ভাড়া দেওয়া সম্পর্কিত পুরনো আইনকে নতুনভাবে সংস্কার করতে সহায়তা করবে৷ সমস্ত স্তরের বা বিভিন্ন আয়ের মানুষ ভাড়া বাড়ির ব্যবস্থা করতে পারবে৷ গৃহহীন মানুষদের বসবাসের সমস্যা সমাধান করবে।
MTA-তে বলা হয়েছে :

◾বাড়ি ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে জন্য ভাড়াটিয়াদের সর্বোচ্চ ২ মাসের ভাড়া অগ্রিম হিসাবে জমা দিতে হবে।
◾বাণিজ্যিক সম্পত্তির ক্ষেত্রে ৬ মাসের ভাড়া অগ্রিম হিসাবে জমা দিতে হবে।
◾নতুন ভাড়ার ক্ষেত্রে লিখিত চুক্তি করতে হবে৷ ওই চুক্তি সংশ্লিষ্ট জেলা ভাড়া কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে।

◾বাড়িওয়ালা বা কেয়ারটেকার বা সম্পত্তির মালিক ভাড়াটিয়াদের বরাদ্দ করা চুক্তিবদ্ধ জায়গায় কোন প্রয়োজনীয় সরবরাহ বা পরিষেবা আটকাতে পারবেন না।

◾উভয় পক্ষের মধ্যে লিখিত সম্মতি থাকলে জোর করে বা নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদ করা যাবে না।

◾যদি চুক্তিতে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা না হয়, তাহলে কাঠামোগত মেরামত, নলকূপ স্থাপন বা নলকূপের পাইপ বদলানো, ঘরে বা বাইরে ইলেকট্রিক্যাল মেরামত বা বাড়ি রং ইত্যাদি কাজ বাড়িওয়ালাকেই করতে হবে।

◾ নিকাশি নালা বা নর্দমা পরিষ্কার করা, সুইচ ও সকেট মেরামত করা, রান্নাঘরের সরঞ্জাম মেরামত করা, দরজা ও জানালায় কাঁচের প্যানেল প্রতিস্থাপন, উদ্যান ও খোলা জায়গাগুলির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ভাড়াটিয়ার থাকবে।
