ছুটি কাটিয়ে ফের তৃণমূলের হয়ে মাঠে নামছে টিম পিকে

লক্ষ্যে অবিচল। কর্মে সফল। সদ্য সমাপ্ত পশ্চিমবঙ্গের হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) বিপুল জনাদেশ পেয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banarjee) দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। প্রবল প্রতিষ্ঠান বিরোধী (Anti Incumbency) হাওয়ার পরও এই বিরাট জয় অনেকেই অবাক করেছে। সব হিসেব ওলট-পালট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু নির্বাচন পর্বের শুরু থেকে প্রথমদিন যে কয়েকজন ব্যক্তি তৃণমুলের জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন, তাঁদের মধ্যে একেবারে শীর্ষে থাকবেন প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) । ভারতীয় রাজনীতিতে যিনি পিকে (PK) নামেই জনপ্রিয়। রাজনৈতিক মহলের অনেকের দাবি, তৃণমূলের এই জয়ের পিছনে তাঁর অবদানও কম নয়।

গত ২ মে ভোটের ফলাফলের পর ভোট কৌশলী পিকে ও তাঁর সংস্থা আইপ্যাকের (I-PAC) সমস্ত কর্মীরা একমাসের ছুটিতে গিয়েছিলেন। ছুটি শেষে, ফের তৃণমূলের জন্য কোমর বেঁধে ময়দানে নামছে আইপ্যাক। ভোটে তৃণমূলের জয়ের জন্য বাংলার প্রতিটি প্রান্তে, প্রতিটি বিধানসভা, প্রতিটি ব্লকে প্রায় ৫০০ জনের একটি দল দু’বছর ধরে কাজ করেছিল। এবং পেশাদারিত্ব দেখিয়ে লক্ষ্যে অবিচল টিম পিকে। কর্মে সফল আইপ্যাক।

আগামী শনিবার তৃণমূল ভবনে দলের সাংগঠনিক বৈঠকের পর পিকের টিমের নতুন ভূমিকার বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের জুলাই মাসে তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগের পর প্রশান্তের লক্ষ্য ছিল নবান্নের ১৪ তলায় ফের একবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসানোর কৌশল ঠিক করা। সেই লক্ষ্যে তিনি সফল।

রাজনৈতিক মহলের একটা অংশের দাবি, এবার দিল্লির রাজনীতিতে মমতা ও তৃণমূলকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তোলা। “মিশন বাংলা-২০২১” -এর পর এবার “মিশন দিল্লি-২০২৪”। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করেন প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্কপ্রসূত ‘দিদিকে বলো’, ‘বাংলার গর্ব মমতা’, ‘দুয়ারে সরকার’, ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’-র মতো কর্মসূচিগুলি সুপার হিট। এবার পিকের নতুন মন্ত্র নিয়ে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তৃণমূল কতটা প্রভাব ফেলবে সেদিকে নজর রাজনৈতিক মহলের।

Advt

 

Previous articleমোদির ফোনকে গুরুত্ব নয়, অভিষেকের আন্তরিকতায় আপ্লুত শুভ্রাংশু
Next articleকেন্দ্রের শো-কজের জবাবে চারপাতার চিঠি আলাপনের