বিশ্বজুড়ে জেট গতিতে বেড়েছে খাদ্যশস্যের দাম, ভবিষ্যতেও বাড়বে, বলছে জাতিসংঘের রিপোর্ট

করোনার দাপটে কাবু বিশ্ব। এই পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (Food and Agriculture Organisation) জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী খাদ্যশস্যের দাম মে মাসে এত দ্রুত হারে বেড়েছে যা গত দশ বছরে যা সর্বোচ্চ বলে। এমনকি বিশ্বে খাদ্যশস্য উত্পাদন নতুন রেকর্ডে পৌঁছনোর পথে। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা(FAO)। FAO খাদ্য মূল্য সূচকের মে মাসে গড় ১২৭.১ পয়েন্ট, এপ্রিলের তুলনায় ৪.৮ শতাংশ বেশি এবং ২০২০ সালের তুলনায় যা ৩৯.৭ শতাংশ বেশি।

FAO জানাচ্ছে, মূলত ভোজ্য তেল, চিনি ও দানাশস্যের দাম আন্তর্জাতিক স্তরে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেই সামগ্রিকভাবে দাম বেড়েছে খাবারের। করোনা অতিমারিতে খাদ্যশস্যের উৎপাদনেও ভাটা পড়েছে। ফলে কম হচ্ছে জোগান। বিশেষত, ভোজ্য তেলের উপর এর প্রভাব প্রকটের কারণে মহার্ঘ হচ্ছে খাবার। গম উৎপাদনও কম পরিমাণে হচ্ছে। অন্যদিকে, বিশ্বের বৃহত্তম চিনি উৎপাদক ব্রাজিলে করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে চাষবাসেও। তাই চিনির রফতানি বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। FAO-র খাদ্যশস্যর মূল্য সূচক এপ্রিল থেকে ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ভুট্টার দাম বেড়েছে যা গত বছরের তুলনায় গড় ৮৯.৯ শতাংশ। তবে আমেরিকায় উন্নত উত্পাদন সম্ভাবনা নিয়ে মে মাসের শেষে ভুট্টার দাম কমতে শুরু করে।

আরও পড়ুন-‘ঋণের তুলনায় বেশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে’, নিজেকে ‘জালিয়াত’ মানতে নারাজ মালিয়া

FAO জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে বৃদ্ধি পেয়েছে মাংসের দামও। এপ্রিল থেকে ২.২ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়াও বেড়েছে দুগ্ধজাত দ্রব্যের দাম। করোনাকালে ব্যাপকভাবে বেড়েছে প্রোটিনজাত খাবারের চাহিদা। চিকিৎসকদের মতে, এই সময় প্রোটিনজাত খাবার খাওয়া বেশি জরুরি। তবে উৎপাদনের মাত্রা বৃদ্ধি না পাওয়ায় দাম বাড়ছে প্রোটিনজাত খাবারেরও। যদিও নিউজিল্যান্ডের রফতানি বৃদ্ধির জন্য কমেছে মাখনের দাম। তবে খাদ্য ও কৃষি সংস্থার এই পরিসংখ্যানে স্পষ্ট, আগামিদিনেও দাম বৃদ্ধি পাবে খাদ্যশস্যের।