করোনা অতিমারি এবং কার্যত লকডাউন পরিস্থিতিতে একরকম চিন্তায় পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষরা। দেশে কাজ হারিয়েছেন প্রায় ২ কোটিরও বেশি মানুষ। দাম বাড়ছে খাদ্যশস্যের, ভোজ্য তেলের। দাম বাড়ছে জ্বালানির। এই পরিস্থিতিতে মাএবং মেয়ে পূর্ব কলকাতার একটি বাড়িতে একাই থাকতেন। দুজনকে প্রায় ১০দিন ঘর থেকে বেরোতে দেখা যাচ্ছিলো না৷ স্থানীয়দের সন্দেহ হওয়ায় ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে দেখেন একরকম মৃতপ্রায় অবস্থায় মা-মেয়ে পড়ে রয়েছেন।

ঘটনাটি পূর্ব কলকাতার ট্যাংরা থানা এলাকার শীল লেনের৷ মা কৃষ্ণা দাস (৬০) এবং মেয়ে সোমা দাস (৩৮) দু’জনই থাকতো৷ স্থানীয়দের কথায়, আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল তাঁদের৷ স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, প্রায় দিন দশেক ঘর থেকে বেরোতে দেখেননি তাঁরা। এলাকার লোকজনের সন্দেহ হয়৷ শনিবার দরজা ভেঙে ঢোকেন স্থানীয়রা। ঢুকে দেখেন ঘরের মধ্যে মৃতপ্রায় অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছেন মেয়ে এবং খাটে মা!

আরও পড়ুন-পিতৃবিয়োগ ‘সাইকেল গার্ল’ জ্যোতির, কিশোরীর পাশে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

এই ঘটনার কথা জানতে পেরে এলাকার বাসিন্দা তথা তৃণমূলকর্মী অলোক খাটুয়া, ধর্মেন্দ্র সাউ, নিতাই সরকার পুলিশে খবর দেন৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্যাংরা থানা পুলিশ আসে ওই বাড়িতে। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ চিকিৎসা চলছে তাঁদের। অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ এলাকাবাসীর ধারণা, টাকা-পয়সার অভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে মৃত্যুর প্রতীক্ষা করছিলেন তাঁরা৷ এতদিন কিছু খাবারও জোটেনি বলে মন্তব্য স্থানীয়দের।

