ঘোর বিপদে East Bengal.
চুক্তিজট না খুললে ক্লাব অথৈ জলে ডুববে।
৯ জুন থেকে শুরু হচ্ছে ফুটবলার বদল। ১২ জুন থেকে ক্লাব লাইসেন্সিং।
লগ্নিকারী শ্রী সিমেন্টের অবস্থান: চুক্তি সই না হলে আর একটা টাকাও নয়। আর এখন বোঝাপড়া ভাঙলে লগ্নিকৃত টাকা ফেরত দিক ইস্টবেঙ্গল। তাঁরা চান টার্মশিট অনুযায়ী কাজ হোক।
এদিকে ক্লাবকর্তাদের একাংশ আলোচনা ছাড়া চুক্তি সই করতে নারাজ।

এখন যা অবস্থা, নতুন ফাউন্ডেশনের ৭৬% শ্রীসিমেন্ট। ২৪% ইস্টবেঙ্গল। এই ২৪%-এর অবদান হিসেবে তারা ক্লাবের সব সত্ত্ব, ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি দিয়ে বসে আছে। একসময় মোহনবাগানকে আওয়াজ দেওয়া ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের যাবতীয় অধিকার সমর্পন করে বসে আছে। ফুটবল ছাড়া বাকি সব অধিকারও সমর্পিত।

এদিকে সেজন্যই ফুটবল ছাড়া অন্য একটি খেলা খেলে ইতিমধ্যেই টার্ম শিট ভঙ্গ করে বসে আছে ইস্টবেঙ্গল।

পরিস্থিতি এরকম: চুক্তি সই না হলে আর এক টাকাও দেবে না শ্রীসিমেন্ট। চুক্তি সই হলে অন্তত দুবছর দুই পক্ষকে মানতে হবে। কিন্তু চুক্তি সইয়ের আগে জোট ভাঙলে ইস্টবেঙ্গলকে এখনও পর্যন্ত লগ্নি হওয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

শ্রীসিমেন্ট চায় এখনই সই করুক ইস্টবেঙ্গল।

আর ইস্টবেঙ্গলকর্তারা এখন সম্ভবত ভাবছেন সই করলে সব অধিকার চলে যাবে শ্রীসিমেন্টের কাছে। তাঁরা কিছু রদবদলে আলোচনা চান নতুন করে।

শ্রীসিমেন্টের যুক্তি, টার্ম শিট অনুযায়ী চুক্তি হচ্ছে। আগে চুক্তি, পরে কথা।

দুই শিবিরই আইনি দিক খতিয়ে দেখছে।

এদিকে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা আবার প্রভাব খাটাতে নবান্নের দ্বারস্থ হচ্ছেন। কিন্তু এবার নবান্ন বিরক্ত। কারণ ইস্টবেঙ্গলকে বাঁচাতে তাঁদের কথাতেই শ্রীসিমেন্ট লগ্নিতে এসেছিল। এখন আবার ইস্টবেঙ্গলকর্তারা চিরকেলে জট পাকাতে হেনস্থা হচ্ছে নতুন লগ্নিকারীর। বারবার এটা কী করে সম্ভব? ক্লাব আগে না গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণ আগে?

ইস্টবেঙ্গল সূত্রে খবর, তাঁরা চাইছেন নবান্নকে দিয়ে শ্রীসিমেন্টকে চাপ দিতে। যাতে চুক্তি সইয়ের আগে বৈঠক হয়।

কিন্তু শ্রীসিমেন্ট এখন তিতিবিরক্ত হয়ে অনঢ় অবস্থানে রয়েছে। তাদের বক্তব্য, একশ্রেণীর ক্লাবকর্তার জন্য ভালো ফুটবলার নেওয়া যায়নি। ক্লাবকে ডুবিয়ে লগ্নিকারীদের সমালোচনার মুখে ফেলে চাপ তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। ফলে চুক্তি সই না হলে তারা কোনো পদক্ষেপ নেবে না।

এদিকে, যদি অচলাবস্থা চলে তাহলে ইস্টবেঙ্গল কোনো টুর্নামেন্টেই খেলতে পারবে না।
ক্লাবকর্তাদের একাংশ ভাবছেন খেলা অনিশ্চয়তার মুখে পড়লে সমর্থকদের মধ্যে থেকে যে চাপ তৈরি হবে সেটা সামলাতে পারবে না শ্রীসিমেন্ট।
অন্যদিকে শ্রীসিমেন্টের ভাবনা হল, বিষয়টা কর্পোরেট সমীকরণের। বাইরের কৌশলের চাপ দিয়ে লগ্নিকারীদের বাধ্য করার খেলা এবার চলবে না।
ফলে, ৭৬%-২৪% ফর্মুলায় গোটা ক্লাবের সব অধিকার বেচে দিয়ে এখন আবার লগ্নিকারীকে চাপ দিয়ে কিছু পুনরুদ্ধারের কৌশলী জেদ করতে গিয়ে চূড়ান্ত বিপাকে ইস্টবেঙ্গল।
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অসম যুদ্ধে প্রার্থী কে? এই প্রশ্নে আড়াআড়ি বিভক্ত সংযুক্ত মোর্চা