বেসুরো নই: চাপের মুখে সুর বদল সৌমিত্রর!

জেলার মিডিয়া সেলের গ্রুপ থেকে লেফট করার এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বৈঠকে উপস্থিত না থাকার পরেও ‘বেসুরো’ নন বলে মন্তব্য করলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সূত্রের খবর, দলের চাপের মুখেই এখন সুর বদল করছেন সৌমিত্র। যে যে কারণ তিনি দেখাচ্ছেন তা কোনটাই ধোপে টিকছে না।

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া নেতা-নেত্রীদের অনেকেই বিধানসভা নির্বাচনের পরে “নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে” পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুলের আশ্রয় নিতে চাইছেন। আর তার মধ্যেই জল্পনা উস্কে বাঁকুড়ায় বিজেপির (Bjp) জেলা মিডিয়া সেলের গ্রুপ ছাড়লেন সংসদ তথা বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) বৈঠকেও থাকবেন না বলে জানান সৌমিত্র। এই নিয়েই জল্পনা তৈরি হয়- তাহলে কি এবার বেসুরো সৌমিত্র? এই নিয়ে তাঁর স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁ (Sujata Mandal Khan) ‘এখন বিশ্ব বাংলা সংবাদ’কে জানান, “সৌমিত্রর শুভবুদ্ধির উদয় হোক এটাই চাইছি। কোনও ভদ্রলোক বিজেপি করতে পারেন না।”

বিষ্ণুপুর থেকে নির্বাচিত সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বিষ্ণুপুরে বিজেপির সাংগঠনিক জেলার মিডিয়া সেলের গ্রুপে ছিলেন তিনি। কিন্তু এই গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। সৌমিত্র খাঁ জানিয়ে দেন, সাংগঠনিক বৈঠকেও যোগ দিচ্ছেন না তিনি। কারণ, “১৫ জুন পর্যন্ত লকডাউনে মিটিং-মিছিল বন্ধ আছে। সেটাকে মান্যতা দিতেই বৈঠকে যাচ্ছি না”। মানুষের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত। সৌমিত্র বলেন, শুধু এই বৈঠকেই নয়, ১৫ তারিখ পর্যন্ত কোথাও যাচ্ছেন না তিনি। এরপরেই প্রশ্ন ওঠে তাহলে কি এবার তিনিও পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুলে ফেরার চেষ্টা করবেন? এর উত্তরে অবশ্য সৌমিত্র জানিয়েছেন, “আড়াই বছর আগে যখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছি, তখন তৃণমূলের কেউ যোগদান করেননি। এটা ভাবার কারণ নেই যে আমি বেসুরো। কিছু গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যেতে হয়”। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি সৌমিত্র খাঁর সঙ্গে কথা বলবেন। জয়প্রকাশের মতে, হয়তো হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এমন কিছু পোস্ট হয়েছিল, যার সঙ্গে সৌমিত্র সহমত নন। এ বিষয়ে দলীয় স্তরে কথা বলে মেটানোর চেষ্টা হবে বলেও জানিয়েছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। এরপরেই সৌমিত্রর ‘দলে আছি’, ‘বেসুরো নই’ ইত্যাদি মন্তব্যকে চাপের মুখে সুরবদল বলে মন্তব্য করেছে রাজনৈতিক মহল।

Advt

Previous articleফ্রেঞ্চ ওপেনের চতুর্থ রাউন্ডে নাদাল, জোকোভিচ
Next articleকোভিড বিধি মেনে পানিহাটি স্পোর্টিং সেন্টারে রক্তদান শিবির