মুমূর্ষ করোনা রোগীদের অক্সিজেন বন্ধ করে মক ড্রিল! ২২ আক্রান্তের মৃত্যুর অভিযোগ

মর্মান্তিক!

হাসপাতালে অক্সিজেন থাকা সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃতভাবে অক্সিজেন খুলে দেওয়া হল করোনা আক্রান্তদের৷ কয়েক মিনিটেই মৃত্যু হল ২২ জনের৷ ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে এমনই মর্মান্তিক ঘটনা৷ ভিডিয়োয় দাবি করা হয়েছে এই ঘটনা গত ২৬ এপ্রিলের৷ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার ৷

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেশে আছড়ে পড়তেই বিভিন্ন প্রান্তে অক্সিজেনের সঙ্কট দেখা গিয়েছে। অক্সিজেনের জন্য হাসপাতালগুলিতে দেখা গিয়েছে হাহাকার৷ কিন্তু হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন থাকলেও কেন ইচ্ছেকৃতভাবে তা খুলে দিয়ে পাঁচ মিনিটে ২২ জন কোভিড রোগীকে কার্যত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হল? এমন প্রশ্ন এখন সর্বত্র। অভিযোগ, কাউকে কিছু না-জানিয়ে অক্সিজেনের ভুয়ো মহড়া হচ্ছিল৷ অক্সিজেনের সংকটের সময়ে কোন কোভিড রোগী অক্সিজেন ছাড়া থাকতে পারবেন, আর কারা পারবেন না, তা বুঝে নিতে রোগীদের অক্সিজেন দেওয়া বন্ধ করে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ অভিযোগ, ভাইরাল হওয়া একটি অডিও ক্লিপে এই কথা স্বীকার করেছেন খোদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একজন।

জানা গিয়েছে, মক ড্রিল চলাকালীনই মুহূর্তে নীল হয়ে যায় করোনা রোগীদের দেহ ৷ মৃত্যু হয় ২২ জনের। ভাইরাল হওয়া এই মর্মান্তিক ভিডিও শেয়ার করে ট্যুইটারে কটাক্ষ করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। অক্সিজেন সংকট নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও প্রধানমন্ত্রীর দাবি তুলে ধরে এই ঘটনার নিন্দা করেছেন সোনিয়া-কন্যা প্রিয়াঙ্কা। প্রশ্ন তুলেছেন, এর জন্য দায়ী কে?

আরও পড়ুন-ভ্যাকসিন নষ্ট হলে করোনা টিকা প্রাপ্তি কমবে, রাজ্যগুলিকে স্পষ্ট বার্তা কেন্দ্রের

ভাইরাল ভিডিয়োয় যে ব্যক্তিকে কথা বলতে শোনা গিয়েছে, তাঁকে আগ্রার পরশ হাসপাতালের মালিক আরিঞ্জয় জৈন বলে দাবি করা হয়েছে। তাঁকে আরও বলতে শোনা যায়, সেদিন হাসপাতালে অক্সিজেনের আকাল ছিল। রোগী ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হলেও কোনও পরিবারের লোকজন তাতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘তখন আমি মক ড্রিলের মতো একটা পরিকল্পনা করি এবং যাঁদের অক্সিজেন জোগান বন্ধ করা যাবে, তাঁদের চিহ্নিত করার জন্য হাসপাতালের কর্মীদের নির্দেশ দিই। সেভাবেই আমরা জানতে পারব যে কে মারা যাবেন এবং কারা বাঁচবেন। সকাল সাতটায় মক ড্রিল হয়। কেউ এটার বিষয়ে জানেন না।’ ভিডিওতে তিনি আরও বলছেন, ‘অক্সিজেনের জন্য ২২ জন রোগীর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাঁদের শরীর নীল হতে শুরু করে। আমরা জানতে পারি যে তাঁরা বাঁচবেন না। আইসিইউ ওয়ার্ডের যাঁরা ৭৪ জন বেঁচে যান, তাঁদের (পরিবারের লোকজনকে) অক্সিজেনের সিলিন্ডার আনতে বলা হয়।’

Advt

Previous article‘কোয়েসের পাপ বহন করছি’, ট্রান্সফার ব‍্যান প্রসঙ্গে বললেন লাল-হলুদ কর্তা দেবব্রত সরকার
Next articleশাঁখা-সিঁদুর পরিয়ে ৬ মাস সংসার, তবুও মিলছে না স্ত্রীর স্বীকৃতি !