বিধানসভা নির্বাচনে মমতাকে মুখ করে ত্রিপুরাতেও খেলা দেখাতে ঘুঁটি সাজাচ্ছে তৃণমূল

বাংলার পর এখন ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরাতে দুই বছর বাদে বিধানসভা নির্বাচনের ঘুঁটি এখন থেকেই সাজাতে শুরু করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।সেই নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ করে ত্রিপুরাতেও খেলা দেখাতে চায় তৃণমূল। যে কারণে এখন থেকেই ত্রিপুরার রাজনীতিতে তৃণমূল ‘খেলা হবে’ স্লোগান তুলতে শুরু করেছে।
তৈরি হয়েছে মিউজিক ভিডিও । যা ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

এবারের নির্বাচনে বাংলায় ব্যাপক জয়ের পর তৃণমূল এবার আশাবাদী দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের বাঙালি অধ্যুষিত ত্রিপুরাতে তারা ভালো ফল করবে।
বাংলায় যেভাবে হিন্দুত্ব বনাম বহিরাগত তত্বের উপর দাঁড়িয়ে বিজেপিকে মাঠের বাইরে করে দিয়ে শেষ হাসি হেসেছে তৃণমূল। সেখানে দাঁড়িয়ে ত্রিপুরাতেও বিজেপিকে রুখে দেওয়ার মতো শক্তি মূলত বাংলা থেকেই সংগ্রহ করে ফেলেছে তৃণমূল। এমনটাই মত তৃণমূল নেতৃত্বের অনেকেরই।

বাংলায় ব্যাপক জয়ের পরেই ত্রিপুরাতেও রাজনৈতিক ছবি পাল্টাতে শুরু করেছে বলে দাবি করেছে ত্রিপুরা তৃণমূল। ত্রিপুরা তৃণমূলের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের ফলাফল বের হওয়ার পর তৃণমূলের ব্যাপক জয়ের প্রভাব পড়েছে ত্রিপুরাতেও।
গত ৪ মে থেকে এই পর্যন্ত বিজেপি ছেড়ে ২ হাজার ১২৩ জন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে বহু নেতারাও তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

ত্রিপুরা তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি আশিস লাল সিং জানিয়েছেন, এখন অনেকে তৃণমূলে আসতে চাইলেও নিচুতলার কর্মী যাঁরা কঠিন সময়েও রাস্তায় নেমে লড়াই করেছেন, তাঁদের মতকে সব সময় গুরুত্ব দিতে হবে।
তিনি জানান, ত্রিপুরার মানুষ বুঝতে পেরেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন একমাত্র শান্তি ও উন্নয়নের কাণ্ডারি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ত্রিপুরার বিশ্রামগঞ্জে রেললাইনের রুট বদলে যেভাবে দশ হাজার মানুষকে উচ্ছেদ হওয়া থেকে বাঁচিয়েছিলেন, উপজাতিরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই কথা মনে রেখেছেন। ত্রিপুরায় এখনই ভোট হলে তৃণমূল সরকার গড়ার মতো অবস্থায় রয়েছে বলেও তাঁর দাবি।

বাংলায় নির্বাচনী ফলাফলে তৃণমূল তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই অসমের কাঞ্চনপুরে ১২০টি পরিবার, কামালপুরে দশটি পরিবারও তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। এই যোগদানের স্রোত আগামী দিনে আরও বাড়বে বলেই ত্রিপুরার তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছে।

ত্রিপুরা রাজ্যে মোট আসন ৬০টি। গতবারের ভোটে বিজেপি জিতেছিল ৩৭টি আসনে, বামেদের জয় ছিল ১৫টিতে।