Tuesday, August 26, 2025

হাত বাড়ালেই বন্ধু! অক্সিজেন-ওষুধ-ভ্যাকসিন নিয়ে গরিবের দরজায় কো-হেল্প

Date:

২০২০, করোনার দোসর আমফান। ২০২১ করোনার বন্ধু ইয়াস। মহামারি মোকাবিলায় সঙ্গে সঙ্গী লকডাউন। টানা দু’বছর জোড়া বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত মানুষ। মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে বড় প্লাটফর্ম-এ দাঁড়িয়ে সরকার তাদের কাজ করছে। কিন্তু মহামারি থেকে ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে চুপিসাড়ে কাজ করেছে চলেছে এ রাজ্যের অনেক সংস্থা। যারা কখনও প্রচারের পাদপ্রদীপে আসে না। সেরকমই এক সংস্থা “Co-help” (কো-হেল্প)।

সেবাই পরম ধর্ম। এই কাজে ব্রতী এই রাজ্য ও শহরের একদল মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ। কোভিড কালে এরাই নিজের জীবন বিপন্ন করে সমাজের একটা বড় অংশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে। সে ওষুধ, অক্সিজেন, ভ্যাকসিন, কোভিড রোগীর বাড়িতে খাবার পৌঁছনো হোক বা মুমূর্ষু রোগীর বাড়িতে বা হাসপাতালে চিকিৎসা বা রক্তের বন্দোবস্ত করা।

শুরুটা হয়েছিল কয়েক বছর আগে দুর্গাপুজোর পঞ্চমীর দিন। এলাকার কিছু দুঃস্থ সহায় সম্বলহীন পথশিশুদের নতুন জামা কাপড় দেওয়া থেকে। এ কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বেশ কিছু ডাক্তারবাবুরাও। এরাই আবার ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মালদার ভয়াবহ বন্যা কবলিত মানুষের জন্য।

গতবছরের কোভিড লকডাউনে, যখন চারিদিকে পিপিই কিট, মাস্ক, সানিটাইসার-এর জন্য হাহাকার, তখনই বেলেঘাটা, ফুলবাগান অঞ্চলের কর্মরত কিছু মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভরা তাঁদের পেশাগত যোগাযোগকে কাজে লাগিয়ে কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশকর্মীদের কাছে সেগুলি পৌঁছে দেন।

এ বছর আবার যখন কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ছে সারা দেশে, যা থেকে বাদ পড়েনি আমাদের রাজ্য ও শহর। তখনই এক দল সাধারণ যুবক যারা রুটিরোজির জোগাড়ের জন্যে ওষুধ বিপণনের কাজে যুক্ত। আজ তাদেরই প্রচেষ্টায় তৈরি হয়েছে একটা গ্রুপ #Co-help যার উদ্দেশ্যই ছিল এই সময় বর্তমান ভয়াবহ করোনা কালে বিভিন্ন মানব সেবামূলক কাজকর্মে সামনের সারিতে দাড়িয়ে মানুষকে স্বস্তি দেওয়া।

চারিদিকে যখন অক্সিজেন, ওষুধ, রক্ত, বেড-এর জন্য হাহাকার চলেছে, এই গ্রুপের সদস্যরা সাধ্যমতো পৌঁছে তা অসহায়, দুর্গত মানুষের দরজায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এদের নতুন কর্মকাণ্ড কোভিড টিকাকরণ এবার সকলের জন্য।

#Co Help গ্রুপের সাহায্যে বহু মানুষ টিকা নেওয়ার সুবিধা পাচ্ছেন। এই গ্রুপের সক্রিয় রাহুলের কথায়, ” ছোট ছোট পায়ে পথ চলতে চলতে এখন আমাদের গ্রুপের সদস্য ৩০০-র বেশি। যে কাজ কলকাতার একটা নির্দিষ্ট অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল, তা ছড়িয়ে পড়েছে পার্শ্ববর্তী জেলাতেও। এবং অন্যান্য পেশার মানুষও আমাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন।”

আরেক সদস্য অয়ন বলছে, “মানুষের সেবা করাটাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য এবং এক্ষেত্রে প্রশাসন, পুলিশ, ডাক্তারবাবুদের ভূমিকাও অনস্বীকার্য।”

মানুষ বলছে, কো-হেল্প যেন হাত বাড়ালেই বন্ধুর ভূমিকায় অবতীর্ণ।

আরও পড়ুন-নুসরত নিয়ে মালব্য খোঁচা দিতেই কুণালের তোপ, ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর দিকে

Related articles

আরজি কর কাণ্ডে ভুয়ো প্রচারের অভিযোগ! নোটিশ চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীকে

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক পড়ুয়া অভয়ার মৃত্যুকে ঘিরে ভুয়ো প্রচার মামলায় নোটিশ ধরাল কলকাতা পুলিশ। পুলিশের...

দুর্গাপুজোর আগে রাজ্যে ডেঙ্গি-উদ্বেগ! টানা বৃষ্টিতে বাড়ছে আশঙ্কা 

দুর্গোৎসবের মুখে একদিকে নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টি, অন্যদিকে ডেঙ্গি সংক্রমণ রাজ্যবাসীর কপালে ভাঁজ বাড়াচ্ছে। জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে...

মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলে হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রী! কিনলেন শাড়ি 

বর্ধমানে প্রশাসনিক সভায় এসে হঠাৎ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলে হাজির মুখ্যমন্ত্রী। শুধু মহিলাদের হাতের কাজই ঘুরে দেখলেন না, কেনাকাটাও...

ধনধান্যে ভরে, মা এসেছে ঘরে: মুখ্যমন্ত্রীর লেখা-সুরে গান এবার দুর্গাপুজোয়

বাংলা ও বাঙালির বড় উৎসব আর পুজোর গান— এক অপূর্ব মেলবন্ধন। এখন দুর্গাপুজোয় মণ্ডপে মণ্ডপে বাজে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা...
Exit mobile version