Saturday, December 27, 2025

মুর্শিদাবাদের পরে হুগলি: স্বজনহারাদের কাছে টেনে সাহায্যের আশ্বাস ‘ঘরের ছেলে’ অভিষেকের

Date:

Share post:

রাজ্যে 48 ঘণ্টায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে 32 জনের। খবর পেয়েই স্বজনহারা পরিবারগুলির পাশে গিয়ে দাঁড়াতে চান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বুধবার, মুর্শিদাবাদের পরে বৃহস্পতিবার তিনি যান হুগলিতে। আর সেখানেও শীর্ষস্থানীয় নেতা মতো নয়, একেবারে ঘরের ছেলের মতো বাড়ির উঠোনে বসে চোখের জল মুছে দিলেন শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলির সদস্যদের। কাঁধে হাত দিয়ে বার্তা দিলেন, “পাশে আছি”।

সোমবার হুগলিতে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় 11 জনের। স্বজনহারা পরিবারগুলির সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে বৃহস্পতিবার সেখানে যৃন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারকেশ্বর হাইস্কুল মাঠে নেমে প্রথমে অভিষেক যান হুগলির (Hoogli) পোলবায়। সেখান থেকে তারকেশ্বর এবং খানাকুলে যান। সেখানে বজ্রপাতে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য ক্যাম্প করা হয়। সেই শিবিরে মৃতদের পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। পরিবারের তরফ থেকে চাকরি দেওয়ার আবেদন করা হয় বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

এর আগে বজ্রাঘাতে পোলবায় মৃত কিরণ রায়ের বাড়িতে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। দুপুরে দেড়টা নাগাদ পৌঁছন তিনি। অভিষেককে দেখে কিরণের ছোটো দুটি মেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে। তাদের সান্ত্বনা দিয়ে অভিষেক বলেন, “কোনও চিন্তা করবে না। সরকার পাশে আছে”। এই সময় কিরণ রায়ের স্বামী আর্জি জানান, সন্তান মানুষ করার জন্য তাঁর একটি চাকরির প্রয়োজন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। একই সঙ্গে শিশু দুটির লেখাপড়ার সমস্ত দায়িত্ব তৃণমূলের (Tmc) পক্ষ থেকে নেওয়া হবে বলে জানান দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেকের সঙ্গে ছিলেন জেলার প্রাক্তন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত (Swapan Dasgupta), অসীমা পাত্র (Ashima Patra), অসিত মজুমদার (Asit Majumder)।

হিরণ রায়ের বাড়ি থেকে তাঁরা যান হারুন রশিদের বাড়ি। সেখানেও শোকোস্তব্ধ পরিজনদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি সাহায্যের আশ্বাস দেন অভিষেক।

নেতা হিসেবে নয়, একেবারে ঘরের ছেলে হিসেবে বাড়ির ভেতরে ঢুকে উঠোনে বসে কথা বলেন। বজ্রাঘাতে কেউ হারিয়েছেন মাকে, কেউ বাবাকে, কেউ সন্তান, কেউ স্বামী বা স্ত্রী- প্রত্যেকের সঙ্গে সহমর্মিতায় কথা বলেছেন অভিষেক। সদ্য মা হারানো দুটি শিশুর মাথায় হাত রাখেন তিনি। রাজনৈতিক নেতা নন, একেবারে জননেতা হিসেবে পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে দুঃখ ভাগ করে নিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। শুকনো সমবেদনা নয়, ঘরে ছেলের মতোই চোখের জল মুছে দিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দিচ্ছেন। বুধবার, মুর্শিদাবাদেও একইভাবে বজ্রাহতদের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার, তার যাওয়ার কথা বাঁকুড়া ও পূর্ব মেদিনীপুরে বজ্রাঘাতে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে।

spot_img

Related articles

‘জনগণমন’ প্রথম গাওয়া হয়েছিল আজকের দিনে, জাতীয় সংগীতকে স্মরণ অভিষেকের

জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে রচিত হওয়ার অনেক আগেই 'জনগণ মন অধিনায়ক জয় হে' গানটি রচিত হয়েছিল। কবিগুরুর সেই অমর...

তাপমাত্রার পারদের পতন অব্যাহত, শনিবার মরশুমের শীতলতম দিন

বছর শেষের বাংলা জুড়ে শীতের (Winter) জমাট ব্যাটিং, প্রতিদিনই নামছে তাপমাত্রার (Temparature)পারদ। কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে তাপমাত্রার পারদ...

শীতের আমেজে মিতিন মাসি স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ে তারকা সম্ভার

মহিলা গোয়েন্দা চরিত্র হিসেবে বাঙালি পাঠকের মনে বড় অংশ জুড়ে আজও মিতিন মাসি( Mitin Masi)। আর সেই মিতিনকে...

গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আগে ইউক্রেনের রাজধানীতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ

শক্তিশালী বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ (Kyiv)। শনিবার ভোরের দিকে রাজধানী শহরের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ...