ইয়াস বিধ্বস্ত কুমিরমারী ‘ভরসা’ রাখুক মনে

একেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত বাংলা, সঙ্গে জুটেছে ইয়াস। জোড়া থাক্কায় হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ।রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে করোনা।ইয়াস বিধ্বস্তদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য  সরকার । সরকারের সঙ্গে দুর্গতদের পাশে থাকার বার্তা নিয়ে এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ।


দক্ষিণ ২৪ পরগণার বেশ কিছু অঞ্চলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কারও বা বাড়ির চাল উড়েছে, নোনা জল ঢুকে ক্ষতি হয়েছে ঘর-বাড়ি, চাষের জমির, কোথাও বা বৈদ্যুতিন পরিষেবা বিচ্ছিন্ন। জলের তোড়ে ভেসে চলেছে বাড়ির জিনিসপত্র। ভিটে-মাটি খুইয়েছেন বহু মানুষ। কুমিরমারী গ্রামের চিত্রটাও একই। বাস্তুহারা সেই মানুষগুলোর মাথা গোঁজার ঠাঁই তো দূর অস্ত, একবেলার অন্নসংস্থান করাও দায় হয়ে উঠেছে। এমতাবস্থাতেই সেই দুস্থ মানুষগুলির পাশে থাকতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে গিয়েছেন ভরসা-র একঝাঁক তরুণ তুর্কি।
তাঁদের কষ্ট কিছুটা লাঘব করতে এগিয়ে এসেছে
‘ভরসা’। রবিবার সুন্দরবনের কুমিরমারী গ্রামের দুর্গতদের রীতিমতো ভরসা যোগালো এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ।
ইয়াস বিধ্বস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে তারা।দুঃস্থ মানুষদের কাছে রান্না করা খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে ভরসা।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে বিধ্বস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন ও সংলগ্ন অঞ্চল ।ভরসা যথাসম্ভব মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে সকলের সহযোগিতায়।
রবিবার প্রায় ৪০০ পরিবারের হাতে শুকনো খাবার, দুধের প্যাকেট, জলের বোতল, স্যানিটারি ন্যাপকিন, মাস্ক, স্যানিটাইজার তুলে দিয়েছে তারা।
তাদের অনুরোধ, সরকারি সাহায্যের পাশাপাশি শহরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিও যেন এই দুস্থ মানুষগুলির পাশে এসে দাঁড়ান। তবেই তাঁরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন। আগামী দিনেও দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে চায় ‘ভরসা’। ভরসা থাকুক ‘ভরসা’র সদস্যদের ওপর।