Sunday, August 24, 2025

কোভিড সংক্রমণের জেরে গত বছর সে ভাবে কোনও টুর্নামেন্ট করা সম্ভব হয়নি। ফলে কোনও স্পনসরও পায়নি আইএফএ। তাই চরম আর্থিক দুর্ভোগে রয়েছে তারা। এমনই পরিস্থিতি যে আইএফএ-এর কর্মীদের বেতন দিতে গেলে, ইলেকট্রিক বিল, টেলিফোন বিল, এসব দেওয়ারও টাকা থাকবে না। তবে এই পরিস্থিতি কাটাতে তৎপর আইএফএ কর্তারা। সেই কারণে বুধবার বৈঠকে বসেছিলেন তাঁরা। সেই বৈঠকেই ঠিক হয়, যে ভাবেই হোক এই বছর স্পনসর আনতে খালি স্টেডিয়ামেই শিল্ড, কলকাতা লিগের আয়োজন করবে আইএফএ। সেই সঙ্গে অন্যান্য টুর্নামেন্টেরও আয়োজন করা হবে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আইএফএ চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত, সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়, তিন জন সহ সভাপতি এবং অন্যান্য সদস্যরা। সেই বৈঠকের পর চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত জানান, ‘আইএফএ-র অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ। কর্মাীদের বেতন দিলে, অন্যান্য খরচ যেমন ইলেকট্রিক বিল, টেলিফোন বিলও দেওয়া যাবে না। এই মুহূর্তে কোনও স্পনসর পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। আর পাওয়া গেলেও, তাদের সঙ্গে কথা বলে চুক্তি করতে প্রায় অগস্ট মাস হয়ে যাবে। আমাদের এখনই টাকার দরকার। এই সমস্যার সমাধান করতে এগিয়ে এসেছেন আমাদের সচিব (জয়দীপ মুখোপাধ্যায়)। উনি আপাতত ব্যক্তিগত ভাবে ২৫ লক্ষ টাকা আইএফএ-কে ধার দিচ্ছেন। স্পনসর পেলে বা আইএফএ-র সুদিন ফিরলে, এই টাকা আবার তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’
আর্থিক সমস্যা মেটাতে এ বার খালি স্টেডিয়ামেই কলকাতা লিগ, আইএফএ শিল্ড সহ বিভিন্ন টুর্নামেন্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইএফএ। যাতে কিছু স্পনসর আসে।

সুব্রত দও বলেছেন, ‘খালি স্টেডিয়ামে ম্যাচ করার অনুমতি তো সরকারই দিয়েছে। আমরা তাই সব টুর্নামেন্ট করার ভাবনাচিন্তা করছি। এতে আইএফএ-র যে শুধু আর্থিক সমস্যার সমাধান হবে, তা নয়। এর সঙ্গেই বহু প্লেয়ার খেলার সুযোগ পাবে। কোনও টুর্নামেন্টে না খেলতে পারার জন্য যাদের ভবিষ্যতে অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে, তাঁরা আবার নতুন উদ্যোমে লড়াই শুরু করতে পারবে। কোচ, রেফারি সকলেরই এতে সুবিধে হবে। খেলা বন্ধ থাকায় আর্থিক ভাবে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত।

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version